‘কাজী জাফরের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে চাই’

উপজেলা রিপোর্টার,চৌদ্দগ্রাম।। 

inside post

এই চৌদ্দগ্রাম অবহেলিত চৌদ্দগ্রাম, এই চৌদ্দগ্রামকে সাজানো বাগানে রূপান্তর করেছিলেন কাজী জাফর আহমেদ আজ থেকে ৩০/৩৫ বছর আগে। এই চৌদ্দগ্রামকে ৪০ বছর আগে প্রথম বিদ্যুৎ উপহার দিয়েছেন কাজী জাফর আহমেদ। চৌদ্দগ্রামে তিনি গ্যাস এনেছিলেন। যখন দেশে অনেক পৌরসভায় কলেজ ছিলনা তখন তিনি এই চৌদ্দগ্রামে দু’টি কলেজকে জাতীয়করণ করেছিলেন। শুধু তাই নয় এই চৌদ্দগ্রামের বিভিন্ন অঞ্চলের রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন করেছিলেন ৩০-৪০ বছর আগে। শুক্রবার(২০ ডিসেম্বর)বিকেলে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিসা বৈদ্দের বাজার এলাকায় জনসংযোগকালে পথসভায় চৌদ্দগ্রামে কাজী জাফর আহমেদের অবদান বর্ণনায় জাতীয় পার্টি(কাজী জাফর) কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী নাহিদ এসব কথা বলেন।

চৌদ্দগ্রামে সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমেদের অবদান তুলে ধরে তিনি আরো বলেন- তিনি এই চৌদ্দগ্রাম থেকে তিনবার এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথমে মন্ত্রী, পরে উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং সর্বশেষ বাংলাদেশের অষ্টম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সময় এই চৌদ্দগ্রামে তিনি কোন ক্ষমতার দাপট বা দম্ভ দেখাননি। তিনি এই অঞ্চলের শিক্ষকদের সাথে- মাদ্রাসা শিক্ষক, কলেজ শিক্ষক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের সাথে একসাথে বসে উন্নয়নের কাজ করেছিলেন।

তিনি আরো বলেন, গত ২৫ বছর ধরে একদলের দাপটে অন্যদল এলাকা থেকে বিতাড়িত হতো, আবার অন্যদল আসে আরেকদল বিতাড়িত হয়। হানাহানি রক্তারক্তি আমরা অনেক দেখেছি, এই চৌদ্দগ্রামের মানুষ যেন আর কোন রক্তে রঞ্জিত না হয়। এই চৌদ্দগ্রামের মাটিতে কোন মায়ের যেন বুক খালি না হয় সেই প্রত্যাশা রেখে আমি কাজী জাফর আহমেদের ‘চৌদ্দগ্রামের জনতা গড়ে তোলো একতা’ স্লোগানকে সামনে নিয়ে চৌদ্দগ্রামবাসীর মাঝে হাজির হয়েছি। আমি গাড়ির মহড়া, হোন্ডার মহড়া, কোটি কোটি টাকা খরচ করে মিটিং মিছিল করে এই চৌদ্দগ্রামের মানুষকে বিভান্ত করতে চাইনা। পায়ে হেঁটে জনসংযোগ করে কাজী জাফর আহমেদের শান্তির চৌদ্দগ্রাম যেন আমরা আবার ফিরিয়ে আনতে পারি, ঐক্যবদ্ধভাবে সকল দলমত নির্বিশেষে একসাথে যেন আবার একটি শান্তির নগরী জনগণকে উপহার দিতে পারি।

শিক্ষা ও কর্মসংস্থানে কাজী পরিবারের অবদান নিয়ে তিনি বলেন, কাজী জহিরুল কাইয়ুম বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবের ঘনিষ্ঠ ছিলেন এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। তিনি চৌদ্দগ্রামের মানুষের সাথে কোন অন্যায় করেননি। কাজী ফিরোজ বিএনপি করেছিলেন, উনার স্ত্রী এমপি ছিলেন। কোনদিন চৌদ্দগ্রামের মানুষের উপর নির্যাতন করেননি। আমাদের পরিবার ১০০ বছর আগে নবাব মোশাররফ হোসেন স্কুল নির্মাণ করেছিলেন এই চৌদ্দগ্রামবাসীর জন্য। কাজী জহিরুল কাইয়ুম, জি কে আহমেদ, মকবলুর রহমান তারা মিল ইন্ডাস্ট্রি করেছিলেন। চৌদ্দগ্রামের মানুষকে তারা চাকরি দিয়েছিলেন।

আরো পড়ুন