কাভার্ডভ্যান ও ট্রাকে ঘরে ফিরছে মানুষ

 

আমোদ রিপোর্টার।।

 

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার পদুয়ার বাজার। প্রাইভেটকার, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান। মহাসড়ক ডিঙিয়ে আঞ্চলিক সড়কে প্রবেশ করছে লোকাল বাস, সিএনজি অটোরিকশা। হঠাৎ চোখ পড়ে মালবাহী কাভার্ডভ্যানের দিকে। হেলপার কাভার্ডভ্যান থেকে নেমে দরজা খোলার পর হুড়মুড় করে নামছে মানুষ! ট্রাকে সারিবদ্ধভাবে বসে মাথায় ছাতা দিয়ে দূরদূরান্তে ছুটছে মানুষ। ট্রাক আর কাভার্ডভ্যান পণ্য পরিবাহী বাহনের পরিবর্তে পরিণত হয়েছে যাত্রীবাহী পরিবহন হিসেবে।

শুধু কুমিল্লার পদুয়ার বাজার নয়। বুধবার বিকালে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক এবং কুমিল্লা-চাঁদপুর সড়কে।

ট্রেন বন্ধ। সংক্রমণ ঠেকাতে দূরযাত্রায় বাসও বন্ধ। যার কারণে মানুষকে ভিন্ন ভিন্ন পন্থায় পারাপার হতে দেখা গেছে। কুমিল্লার শেষ সীমানা পর্যন্ত লোকাল বাসে চড়ে যাওয়ার পর পায়ে হেঁটে গিয়ে ভিন্ন জেলার বাস ধরেছেন কেউ কেউ। এতে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া গুনতে হয়েছে তাদের। বারবার গাড়ি বদল করতে গিয়ে অসহনীয় দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।

এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধ রয়েছে কয়েক বছর ধরে। বুধবার সকাল থেকে কুমিল্লা নগরীর শাসনগাছা, জাঙ্গালিয়া, চকবাজার ও পদুয়ার বাজার বাসস্ট্যান্ডে মানুষের ভিড় থকায় যাত্রীবাহী বাস, মাইক্রোবাস ও লেগুনার সঙ্কট দেখা দেয়। যার কারণে বাধ্য হয়ে ট্রাকে করে যাত্রা করেন হাজার হাজার মানুষ।
ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী রুবেল মজুমদার জানান, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ধরে চৌদ্দগ্রাম গ্রামের বাড়িতে যাব। কিন্তু কুমিল্লায় কোনো বাস পাচ্ছি না। তাই ট্রাকে করে যাচ্ছি। ভাড়াও অনেক বেশি। ‘
কাভার্ডভ্যানে টঙ্গী থেকে কুমিল্লা এসেছেন শাহিন। কাজ করেন পোশাক কারখানায়। টঙ্গী থেকে কুমিল্লায় আসতে (নন এসি বাস) সর্বোচ্চ খরচ ৩০০টাকা। অথচ কাভার্ডভ্যানে করে কুমিল্লায় আসতে তার খরচ পড়েছে একহাজার টাকা। সাথে তীব্র গরমের যন্ত্রণা তো ছিলই।

হাইওয়ে রিজিয়ন কুমিল্লা অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহিন জানান,’ মহাসড়কে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। কয়েকদিনে শতাধিক যাত্রীবাস বাস আটক করা হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে টহল জোরদার করা হয়েছে। ‘