কালিকাপুর-পীরগঞ্জ সড়ক; কমেছে দুর্ঘটনা, জন-জীবনে স্বস্তি

 

অফিস রিপোর্টার।
কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের ফাঁড়ি রোড কুমিল্লা দেবিদ্বারের কালিকাপুর-পীরগঞ্জ সড়ক। একটা সময় নানা দুর্ভোগের কারণে আশেপাশের অর্ধশত গ্রামের মানুষের কাছে এটি ছিল যন্ত্রণার অপর নাম। ভাঙা রাস্তা, গর্ত ও পিচহীন সড়কটিতে যাতায়াত করতে নরক যন্ত্রণায় ভুগেছেন যাত্রীরা। সম্প্রতি সড়কটি পাকা করা হলে হাসি ফুটে দেবিদ্বার ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার জনগণের মুখে। মেরামতের পূর্বে যেখানে সড়কটিতে এগার গ্রাম থেকে কালিকাপুর যেতে সময় লাগতো এক ঘন্টা। সেখানে সংস্কার করার পর সেই জায়গায় সিএনজি চালিত অটোরিক্সা হয়ে যেতে সময় লাগে মাত্র দশ থেকে পনের মিনিট। এছাড়া ভাঙা গর্ত পূর্ণ এই সড়কে দুর্ঘটনা ছিল নিত্য দিনের সঙ্গী। সংস্কার হওয়ায় সড়কটিতে কমেছে দুর্ঘটনা।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ শিক্ষার্থী সুহেল রানা বলেন, ‘যখন রাস্তা বেহাল ছিল তখন পাশের উপজেলা হয়ে চলাচল করতে হয়েছে। একবার এই রাস্তায় চলাচল করলে অসুস্থ হয়ে পড়তে হতো। এখন সংস্কার হওয়ায় দুর্ভোগ ছাড়া অল্প সময়ে চলে যেতে পারি।’

 

এছাড়া সড়কটিতে চলাচল করা অটোরিক্সা মালিক ও চালকরা বলছেন, পূর্বে এই সড়ক হয়ে যাতায়াত করতে যেমন বেশি সময় ব্যয় হতো। তেমনি সড়কের বেহাল দশার কারণে বারবার নষ্ট হয়ে যেতো যানবাহন গুলো। যার কারণে লোকসানে দিন পার করতে হতো তাদের। তাছাড়া এই সড়কে চলাচল করতে গিয়ে অনেক যাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়তেন। রাস্তাটি পাকাকরণে সেই অস্বস্তি কেটে হাসি ফুটেছে দুই উপজেলার লাখো মানুষের মুখে।

 

মুগসাইরের সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চালক জামাল মিয়া বলেন, ‘আগে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে আমাদের দুর্ভোগের কমতি ছিল না। মানুষ এই রাস্তা দিয়ে না চলাচল করে বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করতো। ভাঙা থাকার কারণে আমাদের গাড়ি প্রতিদিন মেরামত করা লাগতো। নতুন সড়কে আমাদের প্রাণ ফিরেছে।

 

 

কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবু কাউছার অনিক বলেন, ‘দেবিদ্বারের মাননীয় সাংসদ রাজী মো ফখরুল মানুষের দুর্ভোগের কথা বুঝতে পারেন। তাই দ্রুত টেকসই ভাবে সড়কটি মেরামত করে মানুষের দুর্ভোগ কমিয়েছেন।’

 

উল্লেখ্য-প্রায় ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৬ কিলোমিটারের রাস্তার সংস্কার কাজ শেষ হয় গেলো বছরের মার্চে। এছাড়া আগামী চার বছরের জন্য সংস্কার কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে। তবে সংস্কার হওয়া এই সড়কটিতে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মাটি বহনকারী ট্রাক্টর সমূহ। এসব ট্রাক্টর চলাচল করায় ইতিমধ্যে সড়কে কিছু অংশে পড়েছে মাটির প্রলেপ।