কুবিতে স্নাতক পরীক্ষার দাবিতে মানববন্ধন

কুবি প্রতিনিধি।।

স্নাতকোত্তরের পাশাপাশি স্নাতকের চূড়ান্ত পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে এ দাবি জানান তারা। গত ২৯ আগস্ট সশরীরে শুধুমাত্র স্নাতকোত্তরের চূড়ান্ত পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। তবে স্নাতকের পরীক্ষা নিয়ে কোন রূপরেখা না দেওয়ায় মানববন্ধনে নেমেছে স্নাতকের শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে প্রতিবাদ জানান।

এসময় শিক্ষার্থীরা স্নাতকোত্তরের পাশাপাশি স্নাতকের পরীক্ষা নেওয়ারও আহ্বান করেন। তারা বলেন, স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের একটি সার্টিফিকেট আছে। এতে তারা চাকুরির বাজারে আবেদনের সুযোগ পাচ্ছে। কিন্তু যারা সাড়ে ৫ বছরেও স্নাতক শেষ করতে পারেনি, তারা কোন চাকরিতে আবেদনের সুযোগ পাচ্ছেনা।

প্রত্নতত্ত্ব ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ৪ বছর ৫ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও আমরা মাত্র ৪ টি সেমিস্টার শেষ করতে পেরেছি। ২০১৯ সালে আমরা সেশনজট নিরসনের দাবিতে আন্দোলন করলে উপাচার্য মহোদয় নিজ উদ্যোগে একাডেমিক ক্যালেন্ডার করে দিয়েছিলেন। কিন্তু আমাদের বিভাগ একাডেমিক ক্যালেন্ডারের তোয়াক্কা না করে গতানুগতিক নিয়মেই চলেছে। যার ফলে আমাদের আর পরীক্ষায় বসা হয়নি। যতই দিন যাচ্ছে আমাদের সেশনজট বেড়েই চলছে।

শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান ও ছাত্র প্রতিনিধিদের সাথে বসে দ্রুত সময়ের মধ্যে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে স্নাতকেরও (শুধুমাত্র ৪র্থ বর্ষ) পরীক্ষা শুরুর ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে স্নাতকোত্তরের পাশাপাশি স্নাতক ১০ম ব্যাচেরও পরীক্ষা শুরু হবে। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে সব ব্যাচের পরীক্ষা শুরু হবে।

উল্লেখ্য-করোনা মহামারীর কারণে গেল বছরের ১৭ মার্চ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হওয়ার পর সে বছরের ২০ ডিসেম্বর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষা নেওয়া শুরু করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। তবে করোনা প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় পুনরায় সকল ধরনের পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। এরপর ১৩ জুন দ্বিতীয় দফা সশরীরে পরীক্ষা শুরু করলেও ২৫ জুন আবার তা স্থগিত করা হয়। সর্বশেষ আগামী ৯ সেপ্টেম্বর থেকে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।