কুবির ডাইনিংয়ে খাবারের মান কমেছে

 

মাহফুজ নান্টু ।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া ও বিভিন্ন হলের ডাইনিংয়ে খাবারের মান নিয়ে শিক্ষার্থীদের মনে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। খাবারের দাম বাড়লেও বাড়েনি মান। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদেও মাঝে চাপা ক্ষোভ রয়েছে।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, রোজায় যেমন প্রোটিন ও পর্যাপ্ত আমিষ জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত তেমন খাবার দেয়া হচ্ছে না।
সরেজমিনে বঙ্গবন্ধু হলের ডাইনিংয়ে গিয়ে দেখা যায়, আগের মতই যে খাবার ৩৫ টাকা ছিল সে খাবারের সাথে শুধু একটা ডিম দিয়েই রাখা হচ্ছে ৬০ টাকা। শিক্ষার্থীরা বলেন, টাকা বাড়লেও খাবারের মান বাড়েনি। প্রায় সবগুলো হলের অবস্থা একই রকম।
শিক্ষার্থীরা জানান, রমজান মাসে হলের বাইরে গিয়ে সেহেরি করা কষ্টসাধ্য। এছাড়াও বাইরে সেহেরি করলে বেশি ব্যয় হয়। সব শিক্ষার্থীদের পক্ষে তা সম্ভব নয়। ন্যায্যমূল্যে হলে ভালো মানের খাবারের ব্যবস্থা করা উচিত।

বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আবু সাঈদ বলেন, হলের খাবারের দাম অনেক বেশি নেয়া হচ্ছে। অন্য সময়ের ৩৫ টাকার মিলের সাথে নামমাত্র আইটেম যোগ করে সেহেরিতে ৬০ টাকা রাখা হচ্ছে। দাম বেশি নেওয়া হলেও খাবারের মানের কোন উন্নয়ন হয়নি। হল থেকে যে খাবার খাই তা বড়জোর ৪০-৪৫ টাকা দাম হওয়া উচিত। সেখানে ৬০ টাকা কেন নেয়া হচ্ছে তা বোধগম্য নয়।
দত্ত হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ইকবাল হাসান বলেন, দিনভর রোজা রেখে ক্যাফেটেরিয়াতে খাই। কিন্তু ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মান প্রত্যাশা অনুযায়ী পাচ্ছি না । খাবারের মান আরো বৃদ্ধি করা উচিত।

পুষ্টিবিদ আয়েশা সিদ্দিকা জানান, একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের দৈনিক ২৭০ থেকে ৪৫০ গ্রাম চাল, আটা, ভুট্টার তৈরি খাবার গ্রহণ করা উচিত। এর সাথে ৩০০ থেকে ৬০০ গ্রাম শাকসবজি এবং ১৫০ থেকে ৩৫০ গ্রাম মাছ, মাংস, ডিম খেতে হবে। রমজানে তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো।

মেহেদী হাসান মুরাদ নামে আরেক শিক্ষার্থী জানান, হলে সব সময় আলু দিয়ে মাছ দিয়ে ,আলু দিয়ে মুরগি রান্না হয়। আর কোন শাক সবজি তেমন রান্না হয় না। এছাড়াও মাছ ও মুরগির টুকরোর যে সাইজ তা দিয়ে একটা শিশুর পুষ্টিমান পূরণ সম্ভব নয়। সে জায়গায় আমরাতো প্রাপ্ত বয়স্ক। শুধু এগুলো দিয়ে খেলে আমাদের আসলেই রোগাক্রান্ত হওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না।

বঙ্গবন্ধু হলের ম্যাচ ম্যানেজার ১০ ব্যাচের শিক্ষার্থী ওসমান ফারুক বলেন, খাবারের মানে সমস্যা নেই। তবে দ্রব্যমূল্যর উর্ধ্বগতি না হলে ৬০ টাকার খাবারটা শিক্ষার্থীরা ৫০ টাকায় খেতে পারতো।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী জানান, বিষয়টি তিনি আগে জানতেন না। এ বিষয়ে হল প্রভোস্টদের সাথে কথা বলে শিক্ষার্থীদের জন্য যেভাবে মঙ্গল হয় এমন সিদ্ধান্তই নিবেন।