কুবি ছাত্রের আবিষ্কৃত; সাইকেলের চাকার বিদ্যুতে চলবে টিভি ও পানির পাম্প
আমোদ রিপোর্টার
ভিন্ন উপায়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা মাথায় আসে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রানা মজুমদারের।
সাইকেলের চাকার গতিশক্তির মাধ্যমে চৌম্বকক্ষেত্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করার যন্ত্র ‘ডায়নামো’ নতুনত্ব এনেছেন তিনি। স্বল্প খরচে উৎপন্ন এ বিদ্যুৎ থেকে বৈদ্যুতিক বাতি, পাখা, টিভি এমনকি পানি তোলার পাম্পও চালানো সম্ভব বলে দাবি করেছেন এ উদ্ভাবক।
রানা মজুমদারের জন্ম কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার সাওড়াতলীতে। বাবা সেলিম মজুমদার ও মা জফুরা বেগমের আট ছেলেমেয়ের মধ্যে তিনি ষষ্ঠ। অধ্যয়ন করছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে।
রানা মজুমদার বলেন, সাইকেলের চাকা থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করার যন্ত্র আগে আবিষ্কৃত হয়েছে। তবে তার উদ্ভাবন সেগুলো থেকে ভিন্ন বলে দাবি করছেন তিনি। লোডশেডিং হলে সাইকেল থেকে উৎপন্ন বিদ্যুতের মাধ্যমে একটি পরিবারের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে বলে দাবি এই তরুণের। এছাড়া যেসব এলাকায় এখনও বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি সেখানে এই সাইকেল ডায়নামো ব্যবহার করা বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। সাইকেলে ব্যায়াম করতে করতে বিদ্যুত উৎপন্ন করা যাবে বলেও জানান রানা।
তিনি বলেন, ‘ছোটবেলায় যখন মোটর দিয়ে পাখা বানাতাম তখন একটা ভাবনা মাথায় আসতো। বিদ্যুৎ সংযোগে মোটর ঘোরে, কিন্তু আমরা যদি অন্য উপায়ে মোটর ঘোরাই তা হলে কি বিদ্যুৎ তৈরি হবে? সেই চিন্তা ভাবনাকে বাস্তবে পরিণত করতে পারলাম সাইকেল ডায়নামো দিয়ে।
তবে আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে আপাতত বড় পরিসরে এ যন্ত্র তৈরি করা সম্ভব নয় রানা মজুমদারের পক্ষে। সরকার কিংবা বড় কোন প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বড় পরিসরে সাইকেল ডায়নামো উৎপাদন করতে সক্ষম হবেন। যা পরবর্তীতে জাতীয় পর্যায়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে জানান তিনি।
রানার উদ্ভাবনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, বন্ধের সময়টাতে অনেক শিক্ষার্থী যেখানে বসে থেকে দিন পার করছে, সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী সাইকেল ডায়নামো আবিষ্কার করেছে। তা আমাদের জন্য সুখবর। এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সবসময় শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করার চেষ্টা করা হয়। এমন ভালো উদ্যোগে এই শিক্ষার্থী সবসময় বিশ্ববিদ্যালয়কে পাশে পাবে।