কুমিল্লায় আন্তঃজেলা চোর চক্রের এক ডজন সদস্য গ্রেফতার

 

inside post

মাহফুজ নান্টু।

সিএনজি চালিত অটোরিকশা-ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও মোটর মাইকেল চুরি করে দ্রুত সেগুলোকে পরিবর্তন করতো। তারপর সেগুলোকে বিক্রি করতো। এই কাজে তারা দুটি গ্রুপ কাজ করতো। এক গ্রুপের কাজ ছিলো বাহন চুরি করা। অন্য গ্রুপের কাজ ছিলো সেই বাহন পরিবর্তন পরিবর্ধন করে বিক্রি করা। আন্তঃজেলা চোর চক্রের এমন ১২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল।
এ সময় ৭ টি সিএনজি চালিত অটোরিকশা, ৬ টি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও ২ টি মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়।


গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন, কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামের মৃত ডাঃ নুরুজ্জামানের ছেলে হেদায়েত উল্লাহ, সদর উপজেলার মাহবুবের ছেলে মোঃ জালাল উদ্দিন (৩২), লাকসাম উপজেলার শ্রিয়াং গ্রামের মিছির আহাম্মদের ছেলে মোঃ অহিদুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বারাইল গ্রামের মৃত কালু মিয়াার ছেলে নাসির উদ্দিন (২৬), ভোলাচং গ্রামের মৃত সোরাফ মিয়ার ছেলে মোঃ সোহেল (৩৫), মোল্লাকান্দি গ্রামের মোঃ হোসেন মিয়ার ছেলে মোঃ তৌকির হোসেন (৩২), চান্দিনা উপজেলার মহিচাইল জিনাইয়ার গ্রামের মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে মোঃ আবু তাহের (৩২), দাউদকান্দি উপজেলার তুজারভাঙ্গা গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে মোহাম্মদ ফজলু মিয়া (৪০), হোমনা উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে মোঃ বাবুল সরকার (৪৬), খুলনা জেলার তেরগাদা উপজেলার আদমপুর গ্রামের মৃত জালালুদ্দিনের ছেলে মোঃ ইমদাদুল হক (৫০), কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার কাযাামারি গ্রামের কামরুজ্জামানের ছেলে মোঃ রোকনুজ্জামান (৪২)।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান এসব তথ্য দেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান, গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজেস বড়ুয়া।

পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, এই চোর চক্রের সদস্যরা জেলার বিভিন্ন স্থান হতে সিএনজি চালিত অটো রিক্সা, ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা ও মোটরসাইকেল কৌশলে চুরি করতো।  চোরাইকৃত বাহনগুলো গ্যারেজে এনে নম্বর প্লেট খুলে, বডি পরিবর্তন করে ও রং পরিবর্তন করে বিভিন্ন লোকজনের নিকট বিক্রয় করে।
গেলো গত ১৭ আগস্ট কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলা হতে একটি চোর চক্র কৌশলে একটি সিএনজি চুরি করে। পরে সিএনজি চালক মামলা করলে সেই মামলার সূত্র ধরে আমরা চোরচক্রের মূল হোতা হেদায়েত উল্লাহকে আটক করি। পরে হেদায়েতকে জিজ্ঞাসাবাস করে এই চোর চক্রের ১২ জন সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৭টি চোরাই সিএনজি, ৬টি চোরাই অটোরিক্সা ও ২টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

আরো পড়ুন