কুমিল্লায় বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী,মশা নিধন কার্যক্রম কতদূর?

 

মহিউদ্দিন মোল্লা ।।
কুমিল্লায় প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী। এদিকে কুমিল্লা নগরীতে মশা নিধন কার্যক্রম নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন। নাগরিকদের দাবি অনেক ওয়ার্ডে এখনও মশা নিধন কার্যক্রম শুরু হয়নি। সিটি করেপারেশনের দাবি-তারা প্রতিটি ওয়ার্ডে মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম জোরদার করেছেন।
সিভিল সার্জন অফিসের সূত্রমতে,বুধবার থেকে গত ২৪ ঘন্টায় কুমিল্লায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৪জন। ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৮জন। মোট ভর্তি আছেন ১৪১জন। এই পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৮৪১জন। বেশি সনাক্ত হয়েছে দাউদকান্দিতে ২৬জন। বেশি ভর্তি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ(কুমেক) হাসপাতালে ৬৬জন। উপজেলা পর্যায়ে বেশি ভর্তি চান্দিনায় ১৩জন। বিভিন্ন সূত্রমতে, চলতি আগস্ট মাসে এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
সচেতন নাগরিক কমিটি কুমিল্লার সাবেক সভাপতি বদরুল হদা জেনু বলেন, সরকারি হিসাব থেকে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। সবাই হাসপাতালে যায় না। কিংবা পরীক্ষা করাচ্ছেন না। আমি নগরীর ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। গত এক মাসে আমার ওয়ার্ডে কোন মশা নিধন কার্যক্রম চোখে পড়েনি। জেলা প্রশাসন,সিটি করপোরেশন, স্বাস্থ্য প্রশাসন ও বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে ডেঙ্গু রোগ নিয়ন্ত্রণে আরো বেশি ভূমিকা নিতে হবে। যেমনটা করোনার সময় নেয়া হয়েছিলো।
ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা.নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী বলেন, বুধবার পর্যন্ত বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ অন্যান্য হাসপাতালে ১৪১জন ভর্তি হয়েছেন। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তদের সেবায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা আন্তরিকভাবে কাজ করছেন ।


কুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, বুধববার পর্যন্ত কুমেক হাসপাতালে ৬১৬জন ভর্তি হন। চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে যান ৫৫০জন। ভর্তি আছেন ৬৬জন। বুধবার ২৬ জন নতুন আক্রান্ত ভর্তি হয়েছেন। তিনি আরো বলেন,এখন মশার আবাসস্থল ধ্বংস করতে হবে। মশারি ব্যবহার করতে হবে। জমানো পানি ফেলে দিতে হবে। জ্বর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বিশেষ করে নগরীসহ যেখানে ডেঙ্গুর লার্ভা পাওয়া যাবে সেখানের বাসিন্দাদের মোটা অংকের জরিমানা করতে হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সম্মিলিত সচেতনতা প্রয়োজন।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ছামছুল আলম বলেন, বিভিন্ন ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে মশা নিধন কার্যক্রম চলছে। লিফলেট বিতরণ করে সচেতন করা হচ্ছে। এই কার্যক্রম আরো জোরদার করা হবে।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান বলেন,ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আমরা স্বাস্থ্য প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনর সাথে সমন্বিতভাবে কাজ করছি। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি। শীঘ্রই স্বাস্থ্য প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনর সাথে সভা করে বড় কার্যক্রম গ্রহণ করবো।