‘পাচারকারীরা নিয়ে গেলেও ব্যাংকে জমা টাকা মার যাবে না’

inside post
এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। ।
বাংলাদেশ ব্যাংক খারাপ ব্যাংকগুলোকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে। ইসলামী ব্যাংক এর একটি উদাহরণ। এ ব্যাংকে আস্থা ফিরে আসছে। অন্য ব্যাংকগুলোর জন্য ব্যাংক রেজুলেশন অ্যাক্ট করা হয়েছে। এটার প্রথম শর্ত হলো যারা ব্যাংকে টাকা জমা দিয়েছে, তাদের টাকা ফেরত দেয়ার জন্য সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। কারও টাকা মার যাবে না। একটু সময় লাগতে পারে। কারণ টাকা নিয়ে চলে গেছে অনেকে। পৃথিবীর কোনো দেশে এরকম ঘটনা ঘটেনি।
শনিবার (০৫ জুলাই) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেছেন।
সঞ্চয়পত্রের মুনাফা হার কমানোর বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সঞ্চয়পত্রের মুনাফা হার বাড়িয়ে দিলে মানুষ সবাই সঞ্চয়পত্র কিনবে, ব্যাংকে টাকা রাখবে না। ব্যাংকেও তো তারল্যের ব্যাপার আছে। ব্যালেন্স করে দেখতে হবে। সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে দিলে ব্যাংক টাকা পাবে কোত্থেকে? এনবিআরে চলমান অস্থিরতা প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সমস্যা সমাধানে তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। আলোচনার মাধ্যমে যা যা করা লাগবে আমরা করব। পাঁচ সদস্যের একটি শক্তিশালী কমিটিও করে দেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারী আনতে আমরা নিশ্চিত করছি ব্যবসার জন্য ১০-১২ জায়গায় যেতে না হয়। যত ধরণের ছাড়পত্র আছে, সেগুলো আমরা কেন্দ্রীয়করণের চেষ্টা করছি।এসময় উপদেষ্টার সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম, নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজীব চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) পিয়াস বসাক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরের সন্তান। এই উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের দড়ি শ্রীরামপুর গ্রামে জন্মগ্রহণকারী ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ,বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবার নিজ জন্মস্থান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে আসেন। দুপুর ১২ টার দিকে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন। নবীনগর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত মতবিনিয় সভায় সভাপদিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভায় যোগদান করার পর কিছু সময়ের জন্য নিজ গ্রামেও যান। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হওয়া গ্রামের সন্তানকে কাছে পেয়ে কিছু সময়ের জন্য পরম পুলকিত বোধ করেন গ্রামবাসী। কিছু সময় নিজ গ্রাম দড়ি শ্রীরামপুরে অবস্থানের পর অর্থ উপদেষ্টা পুনরায় রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা করেন।
আরো পড়ুন