কুমিল্লায় সক্রিয় ভুয়া ওয়ারেন্ট তৈরি চক্র,হয়রানি হচ্ছেন মানুষ

প্রতিনিধি।।
কুমিল্লায় ভুয়া ওয়ারেন্টের চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এতে হয়রানি ও সম্মানহানির শিকার হচ্ছেন মানুষ। আদালত ও পুলিশের কেরানি পর্যায়ের একটি চক্র এর সাথে জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গত ৬ মাসে কুমিল্লার বিভিন্ন থানায় ১৪টি ভুয়া ওয়ারেন্ট তামিলের জন্য পৌঁছে। যা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট থানা দায়িত্বরত এসআই অভিযুক্ত আসামিদের বাড়িতে যান। মান সম্মানের ভয়ে তাদের অনেকে ঢাকা দিয়েছেন। সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন কেউ কেউ। পরবর্তীতে আসামি চ্যালেঞ্জ করলে সংশ্লিষ্ট থানা আদালতে খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারে, এ ধরনের মামলার অস্তিত্ব নেই। সিল, স্বাক্ষর, স্মারক, মামলা নং সবই ভুয়া। সম্প্রতি একটি ঘটনা ঘটে লাকসাম থানায়। ওয়ারেন্ট কপিতে দেখা যায়, ওয়ারেন্ট তামিলের জন্য কুমিল্লা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গত ১৫ফেব্রুয়ারি কার্যালয়ে ডায়েরিভুক্ত হয়। যা চট্টগ্রাম দায়রা জজ আদালত থেকে প্রেরিত বলে সিল স্বাক্ষরে দেখা যায়। ৫মার্চ কোর্ট ইন্সপেক্টরের মাধ্যমে লাকসাম থানায় আসে ওয়ারেন্টটি। যার সূত্রধরে লাকসাম পৌরসভার বাতাখালীর বাসিন্দা এম.এস. দোহাকে গ্রেফতার করতে যায় পুলিশ। এতে চট্টগ্রামের জেলা দায়রা জজ আদালতের ২০২১ সালের মাদক মামলার আসামি তাকে দেখানো হয়েছে। আসামি বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করেন। সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনকে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মাহফুজ এ ব্যাপারে খোঁজ নিতে বলেন। পরবর্তীতে পুলিশ নিশ্চিত হয় ওয়ারেন্টটি ভুয়া। লাকসাম থানা পুলিশ ভুয়া ওয়ারেন্টের ব্যাপারে একটি জিডি করে।
ঢাকায় বসবাসকারী পেশায় সাংবাদিক ও প্রকাশনা ব্যবসায় সম্পৃক্ত এম.এস. দোহা বলেন, তিনি এলাকার কিছু মাদক ব্যবসায়ী ও চাঁদাবাজের বিষয়ে কথা বলেন। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে হয়রানির উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামে মামলা দেখিয়ে ভুয়া ওয়ারেন্ট পাঠায়। ভুয়া ওয়ারেন্ট চক্র অনেককে হয়রানি করছেন। এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন,আমরা একটি ওয়ারেন্ট কপি চেক করে দেখি সেটি ভুয়া। এবিষয়ে থানায় জিডি করা হয়েছে।
কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো. আবদুল মান্নান বলেন, ভুয়া ওয়ারেন্টের বিষয় গুলো আগে শোনা যেতো। ক্রাইম ডাটা ম্যানেজমেন্ট সার্ভার চালুর পর এটি কমে এসেছে। কুমিল্লার বিষয়টি আমার নজরে আসেনি। এই বিষয়ে খোঁজ নেবো। ভুয়া ওয়ারেন্ট কারা তৈরি করে এবং পাঠায় তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।