কুমিল্লার ঘটনাতে প্রশাসনের ব্যর্থতা ও অদক্ষতা রয়েছে – ইনু

 

অফিস রিপোর্ট

কুমিল্লায় ক্ষতিগ্রস্ত পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে শনিবার বিকেলে কুমিল্লা সার্কিট হাউজে সাবেক তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু সাংবাদিকদের বলেছেন, কুমিল্লার নানুয়ার দিঘি পাড় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখা পরিকল্পিত ও সাজানো ঘটনা। একটি উসিলা তৈরি করার জন্য চক্রান্ত করা হয়েছিলো। তারপর যে হামলাগুলো কুমিল্লাসহ সারাদেশে হয়েছে তারা পরিকল্পিত ও প্রস্তুতি নিয়েই করেছে। সুতারাং আমরা একটি ধর্মান্ধ গোষ্ঠির আক্রমণের শিকার হয়েছি। তিনি প্রশাসনের গাফেলতির কথা উল্লেখ করে বলেন, তাদের ব্যর্থতা ও অদক্ষতা দুইটাই আছে। প্রশাসন সতর্ক থাকলে এই হামলাও আটকাতে পারতো। তবে প্রশাসনের মধ্যে লুকিয়ে থাকা সাম্প্রদায়িক কর্মচারী উদ্দেশ্যমূলক নিষ্ক্রিয়তাও আমার কাছে মনে হচ্ছে। ফলে ঘটনা ঘটার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এটি ভালো লক্ষণ না। এই মুহূর্তের মূল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে পূজামণ্ডপে ও সংখ্যালঘুদের উপর আর হামলা হবে না এটা অর্জন করা। এছাড়া তিনি দুপুরে ‘বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কুমিল্লা জেলা শাখা’র আয়োজনে নগীর টাউন হল মাঠের মুক্তমঞ্চে গণ-অনশন ও বিক্ষোভ সমাবেশের সভায় বক্তব্য রাখেন।
তিনি সেখানে বলেন, সারাদেশে ৩২ হাজার পূজা মণ্ডপ রয়েছে। তার মাঝে ৫০টি পূজামণ্ডপে হামলা হলো, প্রশাসন আটকাতে পারলো না কেনো? আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, এই ব্যর্থতার দায় প্রশাসনকেই নিতে হবে। সরকারের কাছে অনুরোধ রইলো এইসব সম্প্রদায়িক সরকারি কর্মচারীদের চিহ্নিত করে বহিষ্কার করুন। দেশে এখনো কোনো দাঙ্গা হয়নি। হামলা হয়েছে মাত্র, অন্যথায় এসব কর্মচারীদের বহিষ্কার না করলে ভবিষ্যতে আরো বড় দাঙ্গা হতে পারে। এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন, সাংবাদিক নেতা আবেদ খান,জাসদ নেতা নাজমুল হক প্রধান,জেলা জাসদের সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইমুল হক প্রমুখ।
কাজী সাইমুল হক জানান, হাসানুল হক ইনু, মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু, প্রেস কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন ও আবেদ খান বিশ্ব শান্তি সংস্থার প্রতিনিধি হিসেবে ক্ষতিগ্রস্থ পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনে কুমিল্লায় আসেন।