কুমিল্লার ৩২টি পুরাকীর্তির আলোকচিত্র প্রদর্শনী

 

অফিস রিপোর্টার।।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে কুমিল্লার প্রত্মস্থল সমূহের পরিচিত বৃদ্ধি করতে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। এতে শালবন বৌদ্ধ বিহার ছাড়াও কুমিল্লার সংরক্ষিত আরো ৩২টি পুরাকীর্তির ছবি স্থান পেয়েছে। ৩১মার্চ পর্যন্ত এই প্রদর্শনী চলবে। ২৫মার্চ এটির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান।

আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে স্থান পাওয়া পুরাকীর্তি গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য,লাকসাম নওয়াব ফয়জুন্নেছার জমিদার বাড়ি,সদর উপজেলার সতের রত্ন মন্দির,লালমাই উপজেলার চন্ডিমুড়া মন্দির, কোটবাড়ি এলাকার ইটাখোলামুড়া,রুপবানমুড়া, নগরীর রানীর কুটি ও শচীন দেব বর্মণের বাড়ি প্রভৃতি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,কোটবাড়ি শালবন বৌদ্ধবিহারের গেটের সামনে এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন। তারা ছবি গুলো দেখে সেখানে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করছেন।

প্রদর্শনীতে আসা কামাল হোসেন বলেন, আমি পাশের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বাড়ি চট্টগ্রাম। প্রদর্শনীতে এসে জানলোম কুমিল্লার শালবন বৌদ্ধ বিহার ছাড়াও আরো অনেক দর্শনীয় পুরাকীর্তি রয়েছে। এই প্রদর্শনী পুরাকীর্তি সম্পর্কে দর্শনার্থীদের আগ্রহী করবে।

ঐতিহ্য কুমিল্লার পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল বলেন, কুমিল্লার প্রত্মস্থল সমূহের আলোকচিত্র প্রদর্শনী একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। এই প্রদর্শনী পুরাকীর্তি সম্পর্কে দর্শনার্থীদের আরো আগ্রহী করে তুলবে। প্রদর্শনীতে ছবির সাথে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা থাকলে সেটি আরো সমৃদ্ধ হতো।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক ড. মো. আতাউর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে কুমিল্লার প্রত্মস্থল সমূহের আলোকচিত্র প্রদর্শনী আয়োজন করা হয়েছে। প্রত্মস্থল সমূহের পরিচিত বৃদ্ধি করতে এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। কুমিল্লা প্রত্ন ট্যুরিজমের কেন্দ্রবিন্দু হিসাবে গড়ে উঠার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।