কুমিল্লায় অপহরণ করে ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবী, ৩৫ হাজার টাকায় মুক্তি

আবদুল্লাহ আল মারুফ।।
কুমিল্লায় ৪০ হাজার টাকার জন্য চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রকে অপহরণ করার অপরাধে এক যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এই রায় দেন কুমিল্লা আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এর বিচার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন। এসময় আসামীর বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত যুবক মো. আবু ইউসুফ (২২)। তিনি নোয়াখালীর সেনবাগের ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের ঠনারপাড় আবুল খায়ের মেম্বারের বাড়ির মো. ইসমাঈলের ছেলে। বর্তমানে ইউসুফ দাউকান্দির গৌরীপুরের উত্তর মোহাম্মদপুর পাঠানতলী মোখলেছুর রহমান পাঠানের বাড়ীর ভাড়াটিয়া।
কুমিল্লার আদালতের আইনজীবী ও মামলার বাদী খোরশেদ আলম জানান, তার ছেলে আনাস ইসলাম নুহিন পদুয়ার বাজার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। ২০২১ সালের ৮ এপ্রিল বিকালে বাসা হতে বের হয়ে নুহিন আইসক্রিম কিনতে পাশের দোকানে যায়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ থাকায় সদর দক্ষিণ থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করেন। পরে তার আত্মীয়স্বজন কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডের বেশ কয়েকটি ভিডিও ফুটেজ দেখে নুহিনকে এক যুবকের সঙ্গে যেতে দেখেন। এঘটনার পর দিন ৯ এপ্রিল অপরিচিত একটি মোবাইল নম্বর হতে ফোন করে জানানো হয় তার হারানো ছেলে তার হেফাজতে আছে। তিনি চল্লিশ হাজার টাকা মুক্তিপন হিসাবে দিলে তার ছেলেকে ফেরত দিবে।তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে ৩৫ হাজার টাকা পাঠান এবং অপহরণকারীকে ফোন করে জানান যে অবশিষ্ট ৫ হাজার টাকা দিতে পারবেন না। পরে আসামী আনাস ইসলাম নুহিনকে আলেখার চর মুক্তিযোদ্ধা চত্বরের উত্তর পাশে নামিয়ে দিয়ে জানান তিনি যেন তার ছেলেকে সেখান থেকে নিয়ে যান। আত্মীয় আলেখার চর মুক্তিযোদ্ধা চত্বর হতে সন্ধ্যায় নুহিনকে উদ্ধার করেন।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী শরাফত আলী সুজন সন্ধ্যায় বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় সর্বোচ্চ শাস্তির আদেশ দিয়েছে আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আমরা রায়ে সন্তুষ্ট।