কুমিল্লায় ঈদের ছুটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-মেয়েসহ নিহত ৪

 

inside post

অফিস রিপোর্টার।।

ঈদের ছুটিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার সদর দক্ষিণ ও দাউদকান্দিতে পৃথক তিনটি দুর্ঘটনায় বাবা-মেয়েসহ ৪ জন নিহত হয়েছেন। প্রথম দুর্ঘটনা কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার লালবাগ এলাকায়। এখানে কাভার্ডভ্যান চাপায় সাজেদুল হক সাজু (৪৫) ও তার মেয়ে খাদিজা আক্তার সাবা (৫) নিহত হয়েছেন। সাজেদুল চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কোমারডোগা গ্রামের হুমায়ুন কবিরের ছেলে। বুধবার সকালে ঈদ উদযাপনের জন্য মেয়ে সাবাকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে শ্বশুর বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। পথিমধ্যে কাভার্ডভ্যান চাপায় প্রাণ হারান বাবা-মেয়ে। সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি দেবাশীষ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে ঈদের পর দিন (বৃহস্পতিবার) একই মহাসড়কের দাউদকান্দি উপজেলার শহীদনগর এলাকায় বাস চাপায় কমলা বেগম (৬৫) নামে এক নারী নিহত হয়েছে। কমলা বেগম দাউদকান্দি উপজেলার ইছাপুর গ্রামের আবদুর রশিদ শিকদারের স্ত্রী। কমলা বেগমের ছেলে জিয়ারুল শিকদার জানান, ঈদ উপলক্ষে সকালে তাঁর মা-বাবা একই উপজেলার নূরপুর গ্রামে খালার বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিলেন। শহীদনগরে বাস থেকে নামার পর মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময় তিশা পরিবহনের একটি বাস তার মাকে চাপা দিলে তিনি মারা যান।

দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহুরুল হক জানান, বাসটি মহাসড়কের বলদাখালে হাইওয়ে পুলিশ আটক করতে সক্ষম হলেও এর চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়।

অপর দিকে দাউদকান্দি উপজেলার ইছাপুরে ঢাকাগামী একটি প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের খাদে পড়ে একজন নিহত হয়েছে। এতে আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আবদুল্লাহ (২) দাউদকান্দির দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা মনির হোসেনের ছেলে।

ওই গাড়ির আরোহী উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা রেজাউল করিম বলেন, শুক্রবার সকাল থেকে কঠোর বিধিনিষেধের কারণে বৃহস্পতিবার বিকালে ভাড়ায় চালিত একটি ব্যক্তিগত গাড়িতে করে দাউদকান্দির দৌলতপুর গ্রামের চাকরিজীবী মনির হোসেন, তাঁর স্ত্রী খাদিজা আক্তার, দুই বছরের ছেলে আবদুল্লাহ, সাত বছরের ছেলে ফুয়াদ, ভগ্নিপতি রেজাউল করিম ও প্রতিবেশী রেজাউলকে নিয়ে ঢাকায় রওনা দেন।
গাড়িটি ইছাপুর গ্রামের কাছে পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে পানিতে ডুবে যায়। এতে আবদুল্লাহ ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পাঁচ আরোহী আহত হন। গাড়ির চালক মো. শাহীনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

 

আরো পড়ুন