কুমিল্লায় ক্ষতিগ্রস্থ ৭০০ হেক্টর ফসলি জমি, অন্ধকারে ১৫ উপজেলা

প্রতিনিধি।।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে কুমিল্লায় ৭০০ হেক্টরের বেশি ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তবে কৃষি অফিস জানিয়েছে জমির পরিমাণ ৬৬৫হেক্টর। এর মধ্যে ধানি জমি ৩৬৭ ও শাকসবজির ২৮৫ হেক্টর জমি। গত চব্বিশ ঘণ্টায় কুমিল্লায় ৬২ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সিত্রাং কুমিল্লা অতিক্রমকালে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬৩ কিলোমিটার। দীর্ঘসময় সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকলেও মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) শহরে ফিরতে শুরু করেছে বিদ্যুৎ। তবে অন্ধকারে রয়েছে কুমিল্লার ১৫ উপজেলা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, ঝড়ের যে গতি ছিল, তাতে আরও বেশি ক্ষতি হতে পারতো। ধানের এখনও ফুল হয়নি, তাই ক্ষতি কম হয়েছে। তবে গোমতী ও মেঘনা চরের সবজি এবং তিতাস ও হোমনা এলাকায় সবজি জমির বেশি ক্ষতি হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর কুমিল্লার কর্মকর্তা ইসমাইল ভূঁইয়া বলেন, সিত্রাং কুমিল্লায় ১২ ঘণ্টার বেশি স্থায়ী ছিল। এর পরিসর অনেক বড় ছিল। তাছাড়া যে গতিতে এটি কুমিল্লা অতিক্রম করেছে, তা এ জেলার প্রেক্ষাপটে অনেক বেশি। লম্বা সময় ধরে বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে প্রচুর গাছপালা উপড়ে পড়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের সময় ঘরের চালে আমগাছ পড়ে জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার হেসাখাল গ্রামে তিনজনের মৃত্যু হয়। ঘুমন্ত অবস্থায় তাদের ঘরের চাল ভেঙে গাছটি খাটের ওপর পড়লে চাপা পড়ে মারা যান তারা। তারা সম্পর্কে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তান।
অপরদিকে শেষ খবর পর্যন্ত কুমিল্লা নগরীর অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ ফিরেছে। সদর ও সদর দক্ষিণ উপজেলার কিছু অংশ ছাড়া জেলার বাকি ১৫ উপজেলার অধিকাংশ স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। কুমিল্লার লাকসাম,মনোহরগঞ্জ,নাঙ্গলকোটে বিদ্যুৎ লাইনে গাছ পড়ায় তার ছিঁড়ে গেছে।
কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৪এর জেনারেল ম্যানেজার সাদেক জামান বলেন, কুমিল্লার মধ্যে আমাদের লাকসাম অঞ্চলে সম্ভবত বেশি ক্ষতি হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছে রাত ১২টার মধ্যে সংযোগ স্বাভাবিক করতে। শেষ করতে না পারলে বুধবার সম্পন্ন করবো।