কুমিল্লায় র‌্যাবকে ঘুষ দিতে গিয়ে আইনজীবী ও যুবলীগ নেতা গ্রেফতার

আমোদ রিপোর্টার

কুমিল্লায় চারজন মাদকের আসামিকে ঘুষের বিনিময়ে ছাড়িয়ে নিতে এসে এক যুবলীগ নেতা, জেলা আইনজীবী সমিতির সহ-সভাপতিসহ ছয়জন গ্রেফতার হয়েছেন। এ ঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানায় মাদক আইনে এবং দুর্নীতি দমন কমিশনে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার নগরীর শাকতলা এলাকায় র‌্যাব কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-১১ এর কোম্পানি অধিনায়ক মেজর তালুকদার নাজমুস সাকিব।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, র‌্যাব-১১ এর একটি দল সোমবার রাতে নগরীর ডিগাম্বরীতলা এলাকায় এলআর এপেক্স টাওয়ার নামক একটি নির্মাণাধীন একটি ভবনে অভিযান চালিয়ে ৩০৫ পিস ইয়াবা, ১২ ক্যান বিয়ার ও মাদক বিক্রির নগদ ৩৭ হাজার টাকাসহ চারজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- নগরীর মৌলভীপাড়া এলাকার মৃত ফরিদ মিয়ার ছেলে মো. শহীদুজ্জামান সজীব (২৮), কাপ্তান বাজার এলাকার জহিরুল ইসলামের ছেলে জুবায়েরুল হক ওরফে নিপু (৩১), বজ্রপুর এলাকার মৃত আবদুল জলিলের ছেলে শাকিল বিন জলিল (৩০) ও বুড়িচং উপজেলার জিয়াপুর গ্রামের মৃত আবদুল জলিল ভ‚ঁইয়ার ছেলে আবুল হোসেন ভ‚ঁইয়া (৩৮)।

র‌্যাব অধিনায়ক জানান, গ্রেফতারকৃত চার আসামিকে ছাড়িয়ে নিতে সোমবার রাতেই মহানগর যুবলীগ নেতা পরিচয়ে বোরহান মাহমুদ কামরুল নামে একজনসহ ছয়জন র‌্যাব কার্যালয়ে আসে। কামরুল মহানগর যুবলীগের সদস্য। তারা র‌্যাবকে দুই লাখ টাকার বিনিময়ে মাদকসহ গ্রেফতার হওয়া ওই চার আসামিকে ছেড়ে দিতে বলেন। এসময় তাদেরকেও গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- সদর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে বোরহান মাহমুদ কামরুল (৪৭), নগরীর কাপ্তানবাজার এলাকার মৃত ইউনুছ মুন্সীর ছেলে মো. অ্যাডভোকেট জহিরুল হক (৬৪), মৌলভীপাড়া এলাকার আহমেদুল কবিরের ছেলে ইফতেখারুল কবির (১৮), মৃত ফরিদ আহমেদের ছেলে ফয়েজ আহমেদ ওরফে অপু (৪০), ছোটরা এলাকার মৃত আবদুল বারেকের ছেলে মো. নিয়ামুল হক (৩০) ও সদর উপজেলার ইলাশপুর গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে আমজাদ হোসেন (৩৬)।

অ্যাডভোকেট জহিরুল হক জেলা আইনজীবী সমিতির সহ-সভাপতি। অপু ১৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
র‌্যাব অধিনায়ক আরও জানান, মাদকসহ গ্রেফতার হওয়া চার আসামি কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল। তাদেরকে ছাড়িয়ে নিতে উৎকোচ প্রদানের চেষ্টাকালে আরও ৬জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে মাদক আইনে এবং ছয়জনের বিরুদ্ধে উৎকোচ প্রদানের চেষ্টা করার অপরাধে দুর্নীতি দমন কমিশনে মামলা হয়েছে।