কুমিল্লায় জলাবদ্ধতা নিরুপণে প্রথম ড্রোন ব্যবহার

 

মহিউদ্দিন মোল্লা

কুমিল্লা কৃষির উন্নয়নে প্রথমবারের মতো ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। ড্রোন থেকে পাওয়া তথ্যমতে জলাবদ্ধতার কারণে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের মোল্লাকান্দি, বড় ও ছোট হরিনা মৌজার প্রায় ১৫০ একর জমিতে ফসল চাষ করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে এলাকার মানুষ প্রায় ৪০০ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যার বাজার মূল্য প্রায় এক কোটি ৫০ লাখ টাকা। এই এলাকার অনেক জায়গায় এইধরনের জলাবদ্ধতার সমস্যা আছে। ১৯ডিসেম্বর জলাবদ্ধ স্থানটি ড্রোনের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করেন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) কর্মকর্তারা।

সূত্রমতে, বিএডিসির অধীনে কুমিল্লা-চাঁদপুর-ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলা সেচ এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রথমবার ব্যবহার করা হচ্ছে ড্রোন প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রকল্প এলাকার বর্তমান অবস্থা এবং বাস্তবায়নের পরে প্রকল্প এলাকার অগ্রগতি বিবেচনা করা যাবে। ড্রোনের মাধ্যমে জলাবদ্ধ এলাকার পরিমাণ এবং তার কারণ চিহ্নিত করে সমস্যার টেকসই সমাধানের জন্য কাজ করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। এই কাজে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করেছেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ট্রাস্ট সিইজিআইএস।

কৃষি সংগঠক মতিন সৈকত বলেন, দাউদকান্দির ওই এলাকাটি প্রায় জলাবদ্ধ থাকে। ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহার করে এর সমস্যা নিরুপণ একটি ভালো উদ্যোগ। কৃষি ও কৃষককে বাঁচাতে কৃষি প্রশাসনের আরো আন্তরিক ভূমিকা প্রয়োজন।

প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ মিজানর রহমান বলেন, বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯ এর মধ্যেও বাংলাদেশের কৃষিকে তথা দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং মাননীয় কৃষি মন্ত্রী মহোদয়ের বিভিন্ন সাহসী উদ্যোগ ও নির্দেশনা মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য বিএডিসি কুমিল্লা পরিবার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এসব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।