কুমিল্লায় জিলানী হত্যার আসামি যুবলীগ নেতা ও দুই কাউন্সিলর
অফিস রিপোর্টার।।
কুমিল্লায় যুবলীগ কর্মী জিল্লুর রহমান চৌধুরী ওরফে গোলাম জিলানী হত্যার ঘটনায় মহানগর যুবলীগ আহবায়ক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ, সিটি কাউন্সিলর আবুল হাসান ও আবদুস সাত্তারসহ ৩৯ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার মধ্যে ২৪ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে ও অজ্ঞাত ১৫ জন। নিহতের ভাই ইমরান হোসেন চৌধুরী বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার সদর দক্ষিণ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার প্রধান আসামি নগরীর ২৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ আবুল হাসান। ২নং আসামি ২৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুস সাত্তার, ১২নং আসামি জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান,মহানগর যুবলীগের আহবায়ক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ, ৩নং আসামি কোতয়ালী আওয়ামী লীগ যুগ্ম সম্পাদক আহম্মেদ নিয়াজ পাভেল ও ৫নং আসামি মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি জহিরুল ইসলাম রিন্টু।
অন্যরা হচ্ছেন, চৌয়ারা গ্রামের সেকান্দার আলীর ছেলে খলিলুর রহমান খলিল, শ্রীবল্লভপুর গ্রামের খোকন মিয়ার ছেলে মেহেদী হাসান, চৌয়ারা গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে নাছিম, চৌয়ারা গ্রামের ছাদেকের ছেলে মারুফ হোসেন, কালিকিংকরপুর গ্রামের আলী আজমের ছেলে আবদুল কাদের, চৌয়ারা গ্রামের মৃত আলী মিয়ার ছেলে নুর মিয়া, রায়পুর গ্রামের রুক মিয়ার ছেলে ইমরান, ধনপুর গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে হালিম মিয়া, ধনাইতরী গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে আবদুল মান্নান, গোয়ালমথন গ্রামের ওসমান মিয়ার ছেলে তুষার, রায়পুর গ্রামের রুক মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম, উলুরচর গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে মাবুল, চৌয়ারা গ্রামের মৃত আবদুল লতিফের ছেলে হানিফ মিয়া, চাষাপাড়া গ্রামের মিরন খন্দকার, চৌয়ারা গ্রামের মৃত মমতাজ উদ্দিনের ছেলে সেলিম মিয়া, চাষাপাড়া গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে সাকিব, গোয়ালমথন গ্রামের বিদেশ চন্দ্র সাহার ছেলে পলাশ সাহা, রায়পুর গ্রামের ফরিদ খানের ছেলে মোনায়েম খান।
বৃহস্পতিবার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর দক্ষিণ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কমল কৃষ্ণ ধর। তিনি জানান, নিহতের ভাই ইমরান হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। মামলায় তার স্ত্রী জাহানারা বেগমসহ স্বাক্ষী সাতজন। এদিকে বুধবার রাতে পুলিশ মামলার ৯ নং আসামি আবদুল কাদেরকে গ্রেফতার করেছে।
কুমিল্লা পুলিশ সুপার সৈয়দ মো. নুরুল ইসলাম বলেন, মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেফতারে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।
বাদী ইমরান হোসেন চৌধুরী মামলায় উল্লেখ করেন,তার ভাই যুবলীগের রাজনীতি করতেন। আসামিরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও কাউন্সিলর নির্বাচন নিয়ে তার উপর ক্ষিপ্ত হয়। এনিয়ে বিভিন্ন সময় তাকে হুমকি দিতো। তিনি সতর্কতার সাথে চলাফেরা করতেন। বুধবার সকালে তিনি স্ত্রীসহ গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এসময় ১৫টি মোটর সাইকেল নিয়ে আসামিরা তাকে ঘিরে ফেলে। পরে তারা চোরা, চাপাতি,ডেগার,চেনি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
উল্লেখ্য- বুধবার সকালে নগরীর চৌয়ারা এলাকায় গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় কুমিল্লা নগরীর ২৫ নং ওয়ার্ডের যুবলীগের কর্মী জিল্লুর রহমান চৌধুরী ওরফে গোলাম জিলানীকে।