কুমিল্লায় মহাসড়কে বাজার ও ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার না করায় ৭০ শতাংশ দুর্ঘটনা

অফিস রিপোর্টার।।
কুমিল্লার মহাসড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়কে গত দুই বছরে ৭ শতাধিক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৮শ’ মানুষ।
মহাসড়কে বাজার ও ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার না করায় ৭০ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটছে বলে কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশ ও পরিবহন নেতাদের দাবি। আরো রয়েছে বিপদজনক ইউটার্ন, কম গতির ছোট যানবাহনের জন্য আলাদা লেন না থাকা ও ৫শতাধিক ফিডার রোড। অপরদিকে ৩০ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে অদক্ষ চালক,ফিটনেস বিহীন যানবাহন চলাচল ও রাস্তায় যত্রতত্র যাত্রী উঠানো ও নামানোর জন্য।

সূত্রমতে,চট্টগ্রাম বিভাগের (পার্বত্য এলাকা ছাড়া) ৭৮০ কি:মি: মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়ক। এর মধ্যে দেশের লাইফ লাইন খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কসহ বেশ কয়েকটি

গুরুত্বপূর্ণ সড়ক রয়েছে। প্রতিদিনই এসব সড়কে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটছে। গত বছর (২০২২) এ অঞ্চলে ৩২৭ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৩৪৭ জন। এর আগে ২০২১ সালে ৪৪১ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছিল ৪৪৪ জন। যা গত বছরের তুলনায় ২৫ শতাংশ কম।
হাইওয়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ অঞ্চলের অধীনে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার, কুমিল্লা-সিলেট সড়কের হবিগঞ্জ পর্যন্ত, কুমিল্লা-চাঁদপুর-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বেশ কিছু ইউটার্নে রিপ্লেক্টিভ স্টিকার নেই। এতে রাতের বেলায় এসব স্থানে দুর্ঘটনা ঘটছে। এসব ইউটার্নে দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয়রা লাল নিশান টাঙিয়ে দিয়েছেন।
কুমিল্লা মোটর এসোসিয়েশনের (বাস মালিক সমিতি) সভাপতি জামিল আহমেদ খন্দকার বলেন, সড়ক-মহাসড়কে ছোট যানবাহন চলাচলের জন্য আলাদা লেন করার দাবি দীর্ঘ দিনের। এসব সমস্যা কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হলেও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এছাড়া মহাসড়ক থেকে বাজার সরানো জরুরি।
সওজ কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা বলেন, ইউটার্নগুলোতে রিপ্লেক্টিভ স্টিকার ভেঙে যাওয়ায় লোকজন সেগুলো নিয়ে গেছে। বর্তমানে বিভিন্ন অংশে মেরামতের কাজ চলছে। শেষ হলে শিগগিরই রোড সাইন স্থাপন করা হবে।
হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, মহাসড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে হাইওয়ে পুলিশ নিয়মিত অভিযান, সচেতনতামূলক কার্যক্রম ও চালকদের প্রশিক্ষণে কাজ করে যাচ্ছে। সড়কে দ্রুত গতির বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও প্রাইভেটকারের সাথে একই লেনে চলে মোটরসাইকেলসহ কম গতির যানবাহন। কারণ এ অঞ্চলের কম দূরত্বের যাতায়াতে জরুরি প্রয়োজনে লোকজনের জন্য মোটরসাইকেলসহ ছোট যানবাহনই একমাত্র ভরসা। তাই ছোট যানবাহনের জন্য আলাদা লেন তৈরি করা হলে দুর্ঘটনা কমিয়ে আনা সম্ভব।