কুমিল্লা জেলায় বাড়ছে আউশের আবাদ, ফলনে খুশি কৃষকরা
মহিউদ্দিন মোল্লা।।
কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার দুর্গাপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন। এখানের কয়েকটি গ্রামে আমন ও বোরো ধান চাষ হতো। গ্রাম গুলো হচ্ছে ছোট আলমপুর,বড় আলমপুর,বিষ্ণপুর,কৃষ্ণপুর,রাজেন্দ্রপুরসহ বিভিন্ন গ্রাম। সেখানে গত দুই বছর থেকে তিনটি ফসল হচ্ছে। যোগ হয়েছে আউশ ধান চাষ। সাথে চাষ বেড়েছে সবজি,গম,ভুট্টা,সরিষা,পিয়াজের। জমিতে তিনবার ধান চাষে আয় বেড়েছে কৃষকদের। সাথে সবজিসহ অন্যান্য ফসল আবাদে তাদের হাতে আসছে নগদ টাকা। এতে খুশি তারা। জেলায় গত বছর ৮০হাজার হেক্টর জমিতে আউশ আবাদ হয়। এবারের লক্ষ্যমাত্রা ৯২হাজার হেক্টর।
সদর উপজেলার ছোট আলমপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমরা দুই ফসল করতাম। আউশ মৌসুমে জমি খালি পড়ে থাকতো। আমরা কৃষি অফিসের পরামর্শে এবার আউশ চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছি। এছাড়া বিনা ধান ২৫,ব্রি ৯৮, ১০৩ নতুন জাত পাওয়ায় আমাদের উৎপাদন বেড়েছে। এছাড়া ৩০বছর পর এই মাঠে গমের চাষ করেছি। এই গ্রামের মাঠে নতুন চাষ হয়েছে ভুট্টা,সরিষা,সূর্যমুখী,পিয়াজ,রসুন ও আদা।
বড় আলমপুর গ্রামের কৃষক হারুন মিয়া বলেন, তিনি কৃষি অফিসের পরামর্শ ও প্রণোদনা পেয়ে আউশ চাষ করেছেন। এছাড়া সবজি চাষ করছেন। কেঁচো সার ব্যবহারের মাধ্যমে নিরাপদ টমেটো উৎপাদন করেছেন।
স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোসাম্মদ আমেনা খাতুন বলেন,তিনি এই ব্লকে ৩বছর আগে যোগ দেন। তখন এক হেক্টর জমিতে আউশ আবাদ হতো। উঠান বৈঠক,পরামর্শ,নতুন জাত ও প্রণোদনার মাধ্যমে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করেন। এখন এই ব্লকে ১০ হেক্টরের বেশি জমিতে আউশ আবাদ হচ্ছে। এছাড়া তার ব্লকে আগে ৪হেক্টর জমিতে সবজি আবাদ হতো, এখন ১০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হচ্ছে। যার মধ্যে ৭ হেক্টর জমিতে জৈব সার ব্যবহার করেন কৃষকরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক আইউব মাহমুদ বলেন,আমরা আউশ আবাদে গুরুত্ব দিয়েছি। আউশ বৃষ্টি নির্ভর ফসল। এতে খরচও কম লাগে। লাভ পেয়ে কৃষক আউশ আবাদে ঝুঁকছেন।