লাগেজে নারীর খণ্ডিত মরদেহ!

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।
লাল রঙের একটি লাগেজে মিললো মাথা ও পাবিহীন নারীর খণ্ডিত মরদেহ। অনুমান ২৫-২৬ বছর বয়েসী ওই নারীর নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সেন্দ গ্রামের নোয়াহাঁটি এলাকার পুকুরপাড় থেকে উদ্ধারকৃত খণ্ডিত মরদেহের পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পিবিআই। এই ঘটনায় পুরো এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্যের।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের সেন্দ গ্রামের নোয়াহাটি এলাকায় একটি পুকুরের পাড় থেকে পুলিশ লাল রঙের একটি লাগেজ উদ্ধার করে, যার অভ্যন্তরে মিলে পা ও মাথাবিহীন অজ্ঞাত নারীর খণ্ডিত মরদেহ। উদ্ধারকৃত মরদেহের ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে।
স্থানীয় এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বুধবার দুপুরে এক যুবক লাল রঙের একটি লাগেজ নিয়ে গ্রামের সড়কের পাশে দাঁড়িয়েছিলো। পরে নোয়াহাটির একটি পুকুরপাড়ে লাগেজটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করে। স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ বিকেলে এলাকায় গিয়ে একটি পুকুরের পাড় থেকে লাল রঙের ওই লাগেজটি উদ্ধার করে, যেটির অভ্যন্তরে মিলে এক অজ্ঞাত নারীর পা ও মাথাবিহীন খণ্ডিত মরদেহ। সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতের পর ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়। অনুমান ২৫-২৬ বছর বয়েসী নিহত ওই নারীর নাম-পরিচয় শনাক্ত করতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কাজ করছেন। ঘটনা জানাজানি হবার পর পুরো এলাকাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য বিরাজ করছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মো. আসলাম হোসাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে একটি পুকুরের পাড় থেকে অনুমান ২৫-২৬ বয়সী অজ্ঞাত ওই নারীর খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধারের পর ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়। ঘটনার তদন্ত চলছে। নিহতের নাম-পরিচয় শনাক্তে পিবিআই কাজ করছেন।’