কুমিল্লা থেকে ছাড়ছে না দূরপাল্লার বাস
তৈয়বুর রহমান সোহেল ।।
বিএনপি-জামায়াতের হরতালের দিন কুমিল্লা থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। স্বল্পপাল্লার দুই-একটি বাস মাঝেমধ্যে ছেড়ে গেলেও যাত্রীর সংখ্যা নগণ্য। বাস না ছাড়াতে কিছু যাত্রী সিএনজি অটোরিকশায় যাতায়াত করছেন।
রবিবার (২৯ অক্টোবর) কুমিল্লা নগরীর শাসনগাছা, জাঙ্গালিয়া, পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডের বাস টার্মিনালগুলো ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
শাসনগাছা বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, গোটা পাঁচেক যাত্রী ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে দাঁড়িয়ে আছেন। কিন্তু কোনো বাস ছেড়ে যাচ্ছে না। সিলেটগামী বাস চলাচলও বন্ধ রয়েছে। স্বল্পপাল্লার দুটি বাসকে অল্প যাত্রী নিয়ে টার্মিনাল ছেড়ে যেতে দেখা গেছে।
এশিয়া লাইন বাসের এক কর্মী নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানান, গতকাল ঢাকার সমাবেশে কুমিল্লার দুটি বাস পোড়ানো হয়। একটি বাস এশিয়া লাইন, অপরটি এশিয়া এয়ারকনের। দুটি বাসই আমাদের কোম্পানির। হরতালের সময় বাস ছেড়ে কোম্পানি নতুন করে ঝুঁকি নিতে চায় না।
জাঙ্গালিয়া বাস টার্মিনালে দূরপাল্লার ও স্বল্পপাল্লার কোনো বাসই ছাড়েনি। ঢাকা ও চট্টগ্রামগামী বেশির ভাগ এসি বাস ছেড়ে যায় এ টার্মিনাল থেকে। এ টার্মিনালের রয়েল কোচ ও মিয়ামি বাসের সামনে আট-দশজন যাত্রীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
ওমর ফারুক নামে এক যাত্রী জানান, বিমানবন্দর যাওয়ার জন্য রয়েল কোচ বাসের টিকিট বুকিং দিই। কিন্তু এখানে আসার পর জানতে পারি বাস ছাড়বে না।
কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড টার্মিনালে চট্টগ্রামগামী সব বাসের কাউন্টার বন্ধ রয়েছে। কিছু বাস সারিবদ্ধভাবে মহাসড়কে দাঁড়ানো আছে। ঢাকাগামী একটি বাসের কাউন্টার খোলা থাকায় সেখানে কিছু যাত্রীর জটলা দেখা যায়।
তিশা বাসের টিকিট বুকিংয়ের স্টাফ দুলাল ঘোষ বলেন, আমরা পরিস্থিতি দেখছি। পরিস্থিতি সুবিধাজনক মনে হলে বাস ছাড়া হবে।
দি মোটরস অ্যাসোসিয়েশন কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম বলেন, যাত্রী না থাকায় দূরপাল্লার বাস ছাড়া হচ্ছে না। যাত্রী পেলে বাস ছাড়বে।
এদিকে, বাস ও অন্যান্য পরিবহনের চাপ না থাকায় ফাঁকা রয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। মহাসড়কে অল্পসংখ্যক ট্রাক ও সিএনজি অটোরিকশা চোখে পড়লেও অন্য বাহন তেমন চোখে পড়ছে না।