কুমিল্লা বিআরটিএ’তে টাকা ছাড়া পাশ মেলে না!

 

#ফিঙ্গার ১০০
#বাইক প্রাকটিক্যাল ৩০০
#কার প্রাকটিক্যাল ৫০০
# চূড়ান্ত পাশে ৫০০০ থেকে ১২০০০টাকা

 

আবু সুফিয়ান রাসেল।।
ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য অতিরিক্ত ফি না দিলে ফেল দেখানো হয়। অনেকে তিন থেকে পাঁচবার পরীক্ষা দিয়েও কন্ট্রাক্টে না গেলে পাশ করতে পারেন না।
সরকার নির্ধারিত ফি থেকে তিনগুণ অতিরিক্ত ফি দেওয়ার পর আবার দফায় দফায় মুসাফা(হাত মেলানো) না করলে ফেল করানো হয়। এমন অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে বাংলাদেশ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কুমিল্লা সার্কেলের বিরুদ্ধে। চ্যালেঞ্জ করার ৩০ মিনিট পর টাকাসহ আটক হয়েছে তার কার্যালয়ের দু’কর্মী।
নতুন যোগদান করেছেন, তাই এসব জানতেন না বলে দাবি কুমিল্লা সার্কেলের সহকারী পরিচালকের।

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে সরকারি প্রকল্পে মাসে ৪০জন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তাদের একজন তারেক রহমান। তিনি বলেন, পরীক্ষার কমপক্ষে একদিন পূর্বে
লার্নারের ফটোকপিসহ পাঁচ হাজার টাকা দিতে হয়েছে।
এছাড়াও ফিঙ্গার ও ছবি তোলার সময় ১০০ টাকা, প্রাকটিক্যাল করার অনুমতির জন্য রশিদের মাধ্যমে ৩০০ টাকা আর ড্রাইভিং সিটে বসার জন্য বিনা রশিদে ২০০ টাকা দিতে হয়েছে। বাইকের জন্য রশিদের মাধ্যমে ১০০ ও বিনা রশিদে ২০০ টাকা দিয়েছি।

পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছেন সুমন মিয়া। তার বাড়ি চৌদ্দগ্রামের ঘোলপাশা গ্রাম। তিনি অভিযোগ করেন, আমি কুমিল্লা টিটিসি থেকে ড্রাইভিং শিখেছি। গাড়ি চালানো ও মেকানিক্যাল কাজ
জানি। আজসহ তিনবার পরীক্ষা দিবো। আমাকে বারবার ফেল দেখানো হয়। আমি কোন টাকা দিতে রাজি না। যারা পারে না তারা পাঁচ থেকে বারো হাজার টাকায় চুক্তিতে পাশ করে।

তাদের অভিযোগের বিষয়ে সরেজমিন যাচাই করেন আমোদ প্রতিবেদক। মার্চ ও এপ্রিল মাসের চিত্রে দেখা গেছে উপরের অভিযোগ সমূহ সত্য।

তবে এ বিষয়ে কুমিল্লা বিআরটিএ সার্কেলের সহকারী পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ফারুক আলম গত ১৬ মার্চ এ প্রতিবেদককে চ্যালেঞ্জ করে বলেন, লার্নারের আবেদন অনলাইনে। তাই কোন অতিরিক্ত টাকা লেনদেন হলে এ দপ্তরের কর্মচারী হলে তার চাকরি থাকবে না। মঙ্গলবার দুপুর একটার পর ফিঙ্গার প্রিন্টের জন্য গ্রাহক থেকে টাকা নেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরে দু’কর্মীকে সহকারী পরিচালকের সামনে হাজির করা হয়। তারা বিষয়টি স্বীকার করেন।

এ সময় মোটরযান পরিদর্শক মোঃ সাইফুল কবীর বলেন, কার ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত ফি ৩০০ টাকা ও বাইক ব্যবহারের জন্য ১০০ টাকা রশিদের মাধ্যমে নেওয়া হয়। এটি বৈধ। এর আগে বা পরে যে লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে তা আমি রমজানে জেনেছি। এখন বন্ধ করা হয়েছে বলে সহকারী পরিচালের নিকট অঙ্গীকার করেন।

এসব বিষয়ে কুমিল্লা বিআরটিএ সার্কেলের সহকারী পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ফারুক আলম বলেন, আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি। অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়ে জানতাম না। চ্যালেঞ্জ করার জন্য দুঃখ প্রকাশ করলাম। নিউজ না করলে ভালো হয়।