কুসিক উপনির্বাচনে আলোচনায় তিন নারীসহ এক ডজন প্রার্থী
মেয়র পদে উপনির্বাচন
মহিউদ্দিন মোল্লা ।।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের(কুসিক) মেয়র পদে উপনির্বাচন ৯মার্চ। ইতোমধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। নগরবাসীর সমর্থন চেয়ে তাদের পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন দেখা গেছে অলিগলিতে। অংশগ্রহণ করছেন বিভিন্ন সামাজিক কাজে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ১৩ ফেব্রুয়ারি। ইতোমধ্যে মাঠে আলোচনায় রয়েছেন তিন নারীসহ ১২জনের নাম। তারা হলেন সাবেক মেয়র বিএনপির সাবেক নেতা মনিরুল হক সাক্কু, প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ আফজল খানের মেয়ে সাবেক এমপি আঞ্জুম সুলতানা সীমা, এমপি বাহারের বড় মেয়ে ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাহসীন বাহার সূচনা, মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাড. জহিরুল ইসলাম সেলিম, প্রয়াত মেয়র আরফানুল হক রিফাতের স্ত্রী ফারহানা হক, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্লাহ খোকন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সৈয়দ নুরুর রহমান, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি নিজাম উদ্দিন কায়সার, বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কবিরুল ইসলাম সিকদার, মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক ভিপি নূর-উর রহমান মাহমুদ তানিম,আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপ-কমিটির সদস্য আনিছুর রহমান মিঠু। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন মনিরুল হক সাক্কু, অ্যাড. জহিরুল ইসলাম সেলিম, নিজাম উদ্দিন কায়সারসহ ৪জন।
সূত্র জানায়,গত ১৩ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত। ২৪ জানুয়ারি উপ-নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ তফসিল ঘোষণা করা হয়। সে অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ১৩ ফেব্রুয়ারি, প্রার্থিতা বাছাই ১৫ ফেব্রুয়ারি ও প্রত্যাহারের শেষ দিন ২২ ফেব্রুয়ারি। প্রতীক বরাদ্ধ হবে ২৩ ফেব্রুয়ারি। এবারের নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকলেও প্রার্থী হতে গণসংযোগ চালাচ্ছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রায় ডজন খানেক নেতা। বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও গত নির্বাচনে দ্বিতীয় ও তৃতীয় হওয়া বিএনপির সাবেক দুই নেতা মনিরুল হক সাক্কু ও নিজাম উদ্দিন কায়সার এবার আবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ভোটে বিজয়ী রিফাত শূন্যস্থান আওয়ামী লীগ কাকে দিয়ে পূরণ করে এই নিয়ে চলছে নানা বিশ্লেষণ।
মনিরুল হক সাক্কু বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে ১৫৪৪ কোটি টাকার কাজ দিয়েছিলেন। সেনিরিখে সিটির উন্নয়নে পরিকল্পনা করেছি। কিন্তু শেষ করতে পারিনি। অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে নির্বাচনে অংশ নেবো।
আতিক উল্লাহ খোকন বলেন, আমরা এমপি বাহারের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। তবে দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষেই কাজ করবে নেতাকর্মীরা।
নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম বলেন, যারা পূর্বে সিটির চেয়ার বসেছেন,তারা টেন্ডারবাজিতে ব্যস্ত ছিলেন। তিনি আধুনিক কুমিল্লা সিটি গড়ার স্বপ্ন দেখেন।
আনিছুর রহমান মিঠু বলেন, যারা দায়িত্ব গ্রহণ করেন তারা আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যান। নগরীর জলাবদ্ধতা ও যানজট নিয়ে কারো মাথা ব্যথা ছিলো না। আমি লুটেরা চক্রকে প্রতিহত করতে নির্বাচনে যাবো।
নিজাম উদ্দিন কায়সার বলেন, পরিবর্তনের প্রত্যয়ে নতুন প্রজন্মের সমর্থন নিয়ে আমি নির্বাচন করবো। শুধু প্রতিশ্রুতি নয় কুমিল্লাকে নতুন করে সাজাতে কাজ করবো।
উল্লেখ্য-২০২২ সালের নির্বাচনে নৌকার রিফাতের কাছে মাত্র ৩৪৭ ভোটে হেরে যান সাক্কু। এতে নৌকা প্রতীকে রিফাত ৫০ হাজার ৩১০ ও টেবিল ঘড়ি প্রতীকে সাক্কু পেয়েছিলেন ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট। একই নির্বাচনে বিএনপি ঘরানার আরেক প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছিলেন ২৯ হাজার ৯৯ ভোট।