‘বাংলাদেশে ক্যান্সারে আক্রান্ত হন দেড় লাখ,মারা যান এক লাখ’

 

কুমিল্লায় ক্যান্সার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার দাবি
প্রতিনিধি।।
প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা রয়েছে। সারা বিশ্বে প্রতি বছর দুই কোটি মানুষ ক্যান্সার আক্তান্ত হন,তার মধ্যে মারা যান এক কোটি। বাংলাদেশে আক্রান্ত হন দেড় লাখ,মারা যান এক লাখ। ৩০-৫০ ভাগ ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব। সচেতনতার মাধ্যমে এই রোগ প্রতিরোধ করে লাখো মানুষের জীবন বাঁচানো যায়। স্থুলতা,মদ্যপান, নিয়ন্ত্রণহীন ডায়াবেটিস এই রোগের ঝুঁকি তৈরি করে। উপসর্গের জন্য অপেক্ষা না করে পরীক্ষা করলে এই রোগ নিরাময় সহজ হয়। রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি কুমিল্লার উদ্যোগে আয়োজিত সচেতনতামূলক সভায় এই তথ্য জানানো হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে কুমিল্লায় ক্যান্সার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার দাবি জানানো হয়।


কুমিল্লা ক্লাবে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি কুমিল্লা শাখার সভাপতি ডা. জাহাঙ্গীর হোসেন ভুইয়া। প্রধান অতিথি ছিলেন বিএমএ কুমিল্লার সভাপতি ডা. আবদুল বাকী আনিস। বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. মোহাম্মদ ইজাজুল হক। বিশেষজ্ঞ মতামত উপস্থাপন করেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. আতাউর রহমান,  ডা. মোস্তফা কামাল আজাদ, ময়নামতি মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ডা. কেএ মান্নান, ডা.তৃপ্তীশ চন্দ্র ঘোষ, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান ডা. শাহাব উদ্দিন, গাইনি বিভাগের প্রধান ডা. সরতাজ বেগম,প্যাথলজি বিভাগের প্রধান ডা, জয়দীপ দত্ত গুপ্ত। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক ডা.একেএম আবদুস সেলিম। ধন্যবাদ জানান, বিএমএ কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক ডা. আতাউর রহমান জসীম। আয়োজনের সায়েন্টিফিক পার্টনার ছিলো বিকন ফার্মাসিটিক্যালস।
প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নিউক্লিয়ার মেডিসিন কুমিল্লার পরিচালক ডা. এম এম আরিফ হোসেন। বক্তব্য রাখেন ক্যান্সার সোসাইটি কুমিল্লার ট্রেজারার অ্যাড. আ ফ ম তাইফুর আলম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিএমএ কুমিল্লার সায়েন্টিফিক সেক্রেটারি ডা.শাহেলা নাজনীন।