খড় কাটার মেশিন কিনে প্রতারিত খামারি!

প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার স্টেশন রোড এলাকা থেকে একটি খড় কাটার মেশিন কিনেন কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার আমড়াতলী ইউনিয়নের খামারি বাহারুল ইসলাম রানা। ২০০ গবাদি পশুর খড়কাটার উপযুক্ত বলে মেশিনটি ক্রয় করলেও পাঁচটি পশুর খড়ও কাটতে পারেন না তিনি। সামান্য কাজ করলেই অচল হয়ে যায় মেশিনটি। তিনি দেখেন মেশিনের মোটরের গায়ে আলাদা স্টিকারে এক দশমিক পাঁচ হর্সপাওয়ার লেখা থাকলেও মূল স্টিকারে লেখা এক হর্সপাওয়ার। খামারি প্রতারিত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ে। ২৬ ফেব্রুয়ারি ওই অভিযোগের শুনানি হয়। এসময় প্রতারণার অভিযোগে ওই ব্যবসায়ীকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। সেই সঙ্গে মেশিনটি ফেরত দিয়ে তার টাকা বুঝে নেন খামারি বাহারুল ইসলাম রানা। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. আছাদুল ইসলাম। অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানটি কুমিল্লার কুমিল্লার স্টেশন রোড এলাকার মেসার্স আ: রাজ্জাক এন্টারপ্রাইজ।

খামারি বাহারুল বলেন, ১৯ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে মেশিনটি কিনেছি। কাজ করে দেখি, যে কথা বলে মেশিন কিনেছি সেই কাজ করা যায়না। পরে আমি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করি। এখন সঠিক সমাধান পেয়েছি। আমি নতুন মেশিন কিনবো।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. আছাদুল ইসলাম বলেন, সঠিক পণ্য যথাযথভাবে সরবরাহ না করায় মেসার্স আ. রাজ্জাক এন্টারপ্রাইজকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মেশিনটি কাজের উপযোগী না হওয়ায় মূল্য ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেই সাথে বাহারুল ইসলাম প্রণোদনা হিসেবে জরিমানার ২৫শতাংশ ১০ হাজার টাকা পেয়েছেন।