মরা গোমতীর বড়শিতে ধরা পড়লো ৩৩ কেজি ওজনের বাঘাইড়

মাহফুজ নান্টু।
কুমিল্লার গোমতী নদী। কোথাও হাঁটু পানি। কোথাও কোমর পানি। আদর্শ সদর উপজেলার অরণ্যপুর এলাকা। মরা গোমতীতে  রাতে বেশ কয়েকজন মৎস্য শিকারী নদীতে বড়শি ফেলে বসে আছেন।
রাত ১০ টা। চারদিকে সুনসান নিরবতা।  হঠাৎ করে মঙ্গল দাশের বড়শিতে টান পড়ে। সুতার টান বাড়তে থাকে। বড় কিছুর টের পান মঙ্গল দাশ। দীর্ঘ এক ঘন্টা মাছটিকে নিয়ে খেলতে থাকেন৷ রাত প্রায় সোয়া ১১ টায় মাছটি পাড়ে তোলা হয়।  বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকেন অন্য মৎস্য শিকারিটা। এত বড় বাঘাইড় গোমতী নদীতে। নিজের বড়শিতে ধরা পড়লো বলে তৃপ্তির হাসি ফুটে মঙ্গলের চোখে। সোমবার বাঘাইড় মাছের বিষয়টি আলোচনায় আসে।
কুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জে বাঘাইড় মাছটি নিয়ে আসেন মঙ্গল দাশ। এত বড় বাঘাড়ই দেখতে উৎসুক মানুষের ভিড় বাড়ে।
রাজগঞ্জ বাজারে মাছের আড়তদার মোঃ পেয়ার মিয়া। তিনি মাছটির ওজন দেন। ৩৩ কেজি ওজনের মাছটি পেয়ার মিয়ার মাধ্যমে ২৫ হাজার ২ শ  টাকায় কিনে একটি সুপার শপের লোকজন।
পেয়ার মিয়া বলেন, মঙ্গল দাশের মাছটি ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছি। সহসা  এত বড় মাছ গোমতীতে সচারাচর  দেখা যায় না।
১৯৯৪ সালে গোমতী নদীতে একবার ৬২ কেজি ওজনের একটি বাঘাইড় মাছ ধরা পড়ে। মাঝে এত বছর পর আরেকটি বড় মাছ পাওয়া গেলো।
মঙ্গল দাশ জানান, তার বাড়ি বরিশালের সদরে। তিনি কুমিল্লা নগরীতে ভাড়া থাকেন। গত সপ্তাহ খানেক ধরে গোমতী নদীতে বড়শি ফেলে মাছ ধরায় আশায় ছিলেন। এই এক সপ্তাহ তার বড়শিতে কোন মাছ ধরা দেয় নি। তবে এক সপ্তাহ পর তার বড়শিতে এত বড় মাছ ধরা পড়বে তা যেন বিশ্বাসই হচ্ছিলো না। শনিবার রাতে মাছটি ধরা পড়ে।  রবিবার বিক্রি করেন।

পেয়ার মিয়া আরো জানান, ১৯৯৪ সালে গোমতী নদীতে একবার ৬২ কেজি ওজনের একটি বাঘা আইড় মাছ ধরা পড়ে। মাঝে এত বছর পর আরেকটি বড় মাছ পাওয়া গেলো।
বিগবাজার সুপারশপের এক বিক্রয়কর্মী জানান, তারা মাছটি প্রতি কেজী ১ হাজার ৫০ টাকা দরে বিক্রি করবেন।
মঙ্গল দাশ জানান, তার বাড়ি বরিশালের সদরে। তিনি কুমিল্লা নগরীতে ভাড়া থাকেন। গত সপ্তাহ খানেক ধরে গোমতী নদীতে বড়শি ফেলে মাছ ধরায় আশায় ছিলেন। এই এক সপ্তাহ তার বড়শিতে কোন মাছ ধরা দেয় নি। তবে এক সপ্তাহ পর তার বড়শিতে এত বড় মাছ ধরা পড়বে তা যেন বিশ্বাসই হচ্ছিলো না।