গৌরিপুর বাজারে বোরকা পরে যুবলীগ নেতাকে গুলিতে হত্যা
প্রতিনিধি।
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরিপুর বাজারে এক যুবলীগ নেতাকে বোরকা পরে এসে গুলিতে হত্যা করেছে। খুন হওয়া যুবলীগ নেতা পাশের তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল হোসেন। রোববার সন্ধ্যায় গৌরীপুর পশ্চিম বাজাওে এই ঘটনা ঘটে। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তৌহীদ আল-হাসান। জামাল তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়,জামাল গৌরিপুর বাজারের ব্যবসায়ী। রোববার সন্ধ্যায় গৌরীপুর পশ্চিম বাজারে গুলির শব্দ হয়। এরপর সেখানে জামালকে পড়ে থাকতে দেখে হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। স্থানীয়রা এসময় তিনজনকে বোরকা পরে পালিয়ে যেতে দেখেন। সিএনজি স্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন বিষয়ে আরেকটি গ্রুপের সাথে জামালের বিরোধ ছিলো।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তৌহীদ আল-হাসান বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে জামাল নামের একজনকে হাসপাতালে আনা হয়। তিনি গুলিবিদ্ধ ছিলেন। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়। আমরা তাকে মৃত ঘোষণার পর আত্মীয়-স্বজনরা লাশ নিয়ে ঢাকায় যান।
তিতাস উপজেলার কড়িকান্দি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও কুমিল্লার তিতাস উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সাইফুল আলম মুরাদ বলেন, হত্যার ঘটনাটি শুনেছি। জামাল তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।
গোরিপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নোমান মিয়া সরকার বলেন, আমি ঢাকায় ছিলাম। পশ্চিম বাজারে জামালকে গুলিতে হত্যা করা হয়। ঘটনাটি পরিকল্পিত মনে হচ্ছে। গ্রুপিংয়ের কারণে এটি হতে পারে।
দাউদকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, যুবলীগ নেতা জামালের কপালে ও বুকে গুলিবিদ্ধ হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে মৃত ঘোষণা করলেও স্বজনরা জামালকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান।