গ্রামের গরুর খামারের পাশে মেঘনা উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস!

প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা মেঘনা উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস সদর থেকে ৫কিলোমিটার দূরে গ্রামে অবস্থিত। সেখানে যেতে ভাঙ্গা সড়ক ও যানজটে আটকা পড়তে হয় সেবা গ্রহীতাদের। অফিসের পাশে রয়েছে গরুর খামার। এতে সেবা গ্রহীতা ও অফিসে কর্মরতরা দুর্ভোগে পড়ছেন। অফিসটি সদরে স্থানান্তরের দাবি এলাকাবাসীর।
স্থানীয় সূত্র জানায়,নদীবিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলে মেঘনা উপজেলাটি ১৯৯৮ সালে গঠিত হয়। উপজেলা গঠনের ১২ বছর পরে উপজেলা সদরে মেঘনা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস স্থাপন করা হয়। ২০১০ সালে তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান এবং মেঘনা উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি মোঃ শফিকুল আলমের প্রচেষ্টায় সাব-রেজিস্ট্রি অফিসটি স্থাপিত হয়। শুরুতে উপজেলা পরিষদ ভবনে সপ্তাহে ২দিন অস্থায়ীভাবে কার্যক্রম পরিচালতি হয়। দুই বছর পর উপজেলা সদর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে মাধবপুর গ্রামের আধাপাকা টিনের ঘরে সাব-রেজিস্ট্রি অফিস স্থানান্তরিত হয়। এতে দূর দূরান্ত থেকে আসা জনসাধারণকে ভোগান্তির শিকার হতে হয়। সম্প্রতি স্থানীয় জনপ্রিতিনিধিরা আইনমন্ত্রী বরাবরে সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসটি উপজেলা সদরে স্থানান্তরের জন্য আবেদন করেছেন।
চালিভাঙ্গার কামাল হোসেন ও গোবিন্দপুরের স্বপন মিয়া বলেন, সাব রেজিস্ট্রি অফিসের রাস্তাটি সরু এবং ভাঙ্গা। যানজনেটর জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠে। বর্তমানে সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের মাত্র কয়েক ফুট দূরে একটি গরুর খামার স্থাপন করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই মশা, মাছির উপদ্রপ, উৎকট দুর্গন্ধ ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। এতে সেখানে সেবা গ্রহীতা ও অফিসে কর্মরতদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
মেঘনা উপজেলার সাব রেজিস্ট্রার মুক্তা সুলতানা বলেন,সদরের বাইরে অফিস হওয়ায় কিছু সমস্যা হচ্ছে। এবিষয়ে জেলা রেজিস্ট্রার মহোদয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে কুমিল্লার জেলা রেজিস্ট্রার আসাদুল ইসলাম বলেন, অফিস স্থানান্তরের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের। জনদুর্ভোগ লাঘবে খোঁজ নিয়ে আমরা কর্তৃপক্ষকে জানাবো।
আইন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব(মতামত) উম্মে কুলসুম বলেন,এই মুহূর্তে ফাইলটি আমার সামনে নেই। ফাইলটি দেখে মেঘনা উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস স্থানান্তরের আবেদনের বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারবো।