৪ ঘণ্টায় ৪ নরমাল ডেলিভারি!

আমোদ প্রতিনিধি।।
কুমিল্লায় একই হাসপাতালে একই দিনে চার ঘন্টারও কম সময়ের ব্যবধানে চারটি নরমাল ডেলিভারি (স্বাভাবিক প্রসব) হয়েছে। রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ওই চারটি নরমাল ডেলিভারি হয় জেলার বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এমন ঘটনা জেলায় খুব বেশি হয়নি বলে জানিয়েছে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়।
জানা গেছে, রবিবার সন্ধ্যা ও রাতে বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রসব ব্যাথা নিয়ে আসেন ওই চার গর্ভবতী মা। তাদের অনেকেই বলছিলেন অস্ত্রোপচারের কথা। কিন্তু তাদের শারীরিক অবস্থা ভালো থাকায় তাদের স্বাভাবিক প্রসবের জন্য প্রস্তাব দেয় হাসপাতালে কতৃপক্ষ। পরে স্বজনদের অনুমতি নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই প্রসব হয়। এখন পর্যন্ত চারজন মা ও চারজন নবজাতকই ভালো আছেন। তারা সবাই সুস্থ্য আছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কামরুল হাসান সোহেল।
ওই চার গর্ভবতী মা হলেন, উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের বাতাইছড়ি এলাকার শ্যামলের স্ত্রী লক্ষী রাণী, গালিমপুর ইউনিয়নের ধনিশ্বর গ্রামের জসিম উদ্দীন আকলিমা আক্তার, একই এলাকার আলী হোসেনের স্ত্রী তাসলিমা বেগম ও শিলমুড়ি ইউনিয়নের আমড়াতলী গ্রামের মো. শহীদের স্ত্রী তাছলিমা আক্তার। তিনটি নরমাল ডেলিভারি করেছেন মিডওয়াইফ মারুফা আক্তার বিবি এবং একটি নরমাল ডেলিভারি করেছেন মিডওয়াইফ রেজওয়ানা পারভীন ও মিডওয়াইফ শাফলি বেগম।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কামরুল হাসান সোহেল বলেন, রবিবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে আড়াইটার মধ্যে আমাদের হাসপাতালে চারটি নরমাল ডেলিভারি হয়েছে। আমরা নরমাল ডেলিভারিতে নারীদের আগ্রহী করতে অনেক আগ থেকেই কাজ করি। যেমন নবজাতকদের নতুন জামাকাপড় উপহার দেই।
জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. নাজমুল হাসান জানিয়েছেন, এমন ঘটনা জেলায় খুব বেশি নেই। নরমাল ডেলিভারিতে মায়ের মৃত্যু হারও কম। শিশুরাও ঝুঁকিমুক্ত থাকেন। তবে নরমাল ডেলিভারি বাড়িতে করার কোন সুযোগ নেই। কারণ এতে ঝুঁকি থেকেই যায়। প্রাতিষ্ঠানিক নরমাল ডেলিভারিতে আগ্রহী করতে আমরা সবাই কাজ করছি। বরুড়ার টিম নিয়মিত নরমাল ডেলিভারি করছে। এবং সবাইকে আগ্রহী করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে।