‘গ্রামে গ্রামে সবুজের প্রতিযোগিতা’
প্রতিনিধি।।
গ্রামে গ্রামে সবুজের প্রতিযোগিতা হোক। সবুজে ছেঁয়ে যাক আমাদের চারপাশ। তাহলেই সার্থক হবে আমাদের প্রচেষ্টা ৷ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা নাঙ্গলকোটে আয়োজিত বৃক্ষের বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন অনুষ্ঠানের অতিথিরা। গোমেতি সংবাদের আয়োজনে ও নববাংলা সমন্বিত কৃষি খামারের সহযোগিতায় উপজেলার পুজকরা উচ্চ বিদ্যালয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
গোমেতি সংবাদের সম্পাদক মোবারক হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পুজকরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের কুমিল্লা প্রতিনিধি মহিউদ্দিন মোল্লা, মাইটিভির কুমিল্লা প্রতিনিধি আবু মুসা ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোসলেহ উদ্দিন সেলিম। এসময় স্কুলের বিভিন্ন বিষয়ের সহকারী শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
মাইটিভির কুমিল্লা প্রতিনিধি আবু মূসা বলেন, এখান থেকেই একদিন দেশের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে যাবেন আপনারা। এখন থেকেই প্রস্তুতি নিন। এই সবজির বীজ তোমাদের ভবিষ্যৎ নির্দেশক হিসেবে থাকবে। তোমরা সেগুলি যত্ন নেবে। এই গাছগুলি যখন বড় হবে আপনাদের বাবা মায়েরা আনন্দিত হবেন। শুধু তাই নয় অনেকে তোমাদের দেখি বৃক্ষরোপণ করবেন। এতে তোমাদের সওয়াব দ্বিগুণ বেড়ে যাবে।
বাংলাদেশ প্রতিদিনের কুমিল্লা প্রতিনিধি মহিউদ্দিন মোল্লা বলেন, একটি হাদিস আছে ‘যদি পরদিন কেয়ামত জানো আগের দিন তোমরা গাছ লাগাবো। গাছ লাগানো একটা সাদকায়ে জারিয়া। অর্থাৎ মৃত্যুর পরে সওয়াব পাওয়া যায়। তিনি আরো বলেন,বীজ লাগাও কায়িক শ্রম করো। মস্তিষ্ক খালি রাখবে। অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা। তিনি আত্মবিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে যেতে শিক্ষার্থীদের আহবান জানান। গ্রামের শিক্ষার্থী ভেবে নিজেকে ছোট মনে করবে না। দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ৯০ভাগ গ্রাম থেকে উঠে এসেছেন।
গোমেতি সংবাদের সম্পাদক মোহাম্মদ মোবারক হোসেন বলেন, এই অনুষ্ঠানটা যেন একটা বাগান হয়ে গেছে। প্রত্যেকের মুখে হাসি। আজকে সবাই যে বীজ পাবেন তা শুধুই তোমাদের জন্য উপহার নয়। এটা একটা শিক্ষাও বটে। এই ছোট ছোট বীজ থেকে একদিন গাছ হবে। তোমরা এখন বীজের মতই। একদিন তোমরা সফল হবে। এই গাছগুলো তো ফুল ফল ধরবে। গাছে ফুল ফল আসলে তোমরা যেমন আনন্দিত হবে, তোমরা বড় হয়ে দেশের জন্য কাজ করলে তোমাদের বাবা মায়েরাও আনন্দিত হবেন।
এসময় তিনি বলেন, আমরা চাই দেশের একটুরো জমিও খালি না থাকুক। আমরা গ্রাম থেকে গ্রাম। এলাকা থেকে এলাকা বীজ পৌঁছে দিতে চাই। সেই বীজ পৌঁছাক আমাদের পরিবার গুলোতে। পুষ্টিমান ধরে রাখার পাশাপাশি তা আমাদের পারিবারিক অর্থ ব্যয় কমাবে। এবং শিশুদের বেড়ে উঠায় সহযোগী হবে।
পুজকরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন বলেন, গ্রামেগঞ্জে এরকম আয়োজন দেখা যায় না। সবজির বীজ নিয়ে যারা শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রামের এই স্কুলে এসেছেন তাদের নিকট কৃতজ্ঞ। আমি বিশ্বাস করি আমার শিক্ষার্থীরা এসব বীজ তাদের বাড়ির আঙ্গিনায় লাগাবেন। এসব গাছ লাগালে তা থেকে যে ফসল হবে তা পরিবারের জন্য উপকারী হবে। এতে করে পরিবারের সাথে তাদের ঘনিষ্ঠতা বাড়বে। আমরা খবর রাখবো কারা কারা এসব বীজ বপন করেন। যারা বপন করবেন আগামী বছর আবার তাদের জন্য বীজের ব্যবস্থা করা হবে।