চৌদ্দগ্রামের গ্রাম-বাজারে বেড়েছে চোরের উপদ্রব
সানোয়ার হোসেন।।
চৌদ্দগ্রামে আশংকাজনক হারে বেড়েছে চুরির ঘটনা। তীব্র শীতে রাত জেগে পাহারা দিয়েও ঠেকানো যাচ্ছেনা গরু ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে চুরি। গত এক সপ্তাহে ধরে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ও বিভিন্ন হাট-বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঘটে এসব চুরির ঘটনা; শূন্য হয়ে যাচ্ছে গৃহস্থের গোয়াল ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
২৩ জানুয়ারি বৃহষ্পতিবার রাতে উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের পাটানন্দী গ্রামের ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমানের গোয়ালঘরের তিনটি গরু গরু চুরি হয়। এর আগে ১০ জানুয়ারি একই গ্রামের হাজী জয়নালের ৫ টি গরু চুরি হয়; যার আনুমানিক মূল্য ৪ লাখ টাকা। ১১ তারিখ জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
পাটানন্দী গ্রামের ব্যবসায়ী শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘পরপর দুটি গরু চুরির ঘটনা ঘটায় গ্রামের সবাই গবাদিপশু নিয়ে আতঙ্কিত; তীব্র শীত ও কুয়াশার মধ্যে রাতে বারবার বের হয়ে গোয়ালঘর পাহারা দিতে হচ্ছে।’
অপরদিকে ১৩ জানুয়ারি সকালে কাশিনগর ইউনিয়নের কাশিনগর বাজারে অবস্থিত স্কাইনেট ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনা সংঘটিত হয়। এ ঘটনায় মালিক আবদুস সালাম বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায় সংঘবদ্ধ চোর চক্র দল ভোর বেলায় আনুমানিক ১০ লক্ষ টাকার ব্রডব্যান্ড সরঞ্জাম নিয়ে যায়। গত ২০ জানুয়ারি ভোর বেলায় চৌদ্দগ্রাম বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মোবাইল পয়েন্টে চুরি হয়। একই দিন মালিক মাসুদুর রহমান বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। মাসুদ মিয়ার দায়েরকৃত অভিযোগে জানা যায়, চৌদ্দগ্রাম বাজারের হাজী জুলু মিয়া মার্কেটে মোবাইল পয়েন্ট ও সার্ভিসিং সেন্টারের শার্টার ও কলাপসিবল গেটের তালা কেটে নগদ ১ লক্ষ ও ৫০ পঞ্চাশ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে যায়। নিয়মিত চুরির ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছেন বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ী ও গরু লালনপালনকারী গৃহস্থরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাজারের বিভিন্ন মোবাইল ব্যবসায়ীরা জানান, ‘ মহাসড়কের উপর এতো বড় একটি বাজার; একটি পরিচালনা কমিটি নাই; প্রতিনিয়ত চুরির ঘটনা ঘটছে, তাই আমরা মূল্যবান মোবাইল সেট গুলো ব্যাগে করে বাসায় নিয়ে যাই।’
এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিলালি আহমেদ জানান, ‘আমি অল্প কিছুদিন হয় চৌদ্দগ্রাম থানায় যোগদান করেছি; থানা পুলিশের পক্ষ থেকে নিয়মিত পুলিশের টহল টিম রাত জেগে ডিউটি করছে। বিভিন্ন হাট বাজারে নৈশপ্রহরী না থাকায় চুরির ঘটনা ঘটছে। বিভিন্ন স্থানে চুরির ঘটনায় অভিযোগ অনুসারে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’