চৌদ্দগ্রামে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভাকে ঘিরে দফায় দফায় সংঘর্ষ

 

প্রতিনিধি।।
চৌদ্দগ্রামে উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভাকে ঘিরে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মিয়াবাজার এলাকার একটি হাইওয়ে রেস্তোরাঁর আশপাশের এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। কয়েক ঘন্টা ব্যাপী চলা সংঘর্ষ মাঝ রাতে পুলিশ নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় সূত্রমতে, একটি হাইওয়ে রেস্তোরাঁয় রবিবার সন্ধ্যায় চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি পৌর মেয়র মীর হোসেন মীরু। সভায় অধিকাংশ নেতৃবৃন্দ একে অন্যের বিরুদ্ধে বিষোদগার করতে থাকেন। এনিয়ে কয়েকবার সভার সভাপতি থামানোর চেষ্টা করলেও তাকে ধমক দিয়ে থামিয়ে দেয়া হয়। এক পর্যায়ে কালিকাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান মজুমদার ও সাবেক চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন মজুমদার বিতর্কে লিপ্ত হন। এক পর্যায়ে সালাউদ্দিন মজুমদারের ছেলে নেয়ামত উল্লাহ মজুমদার রুমি মাহবুবকে চেয়ার ছুঁড়ে মারেন। তাকে লাঞ্ছিত করে পাঞ্জাবি ছিঁড়ে ফেলেন। রেস্তোরাঁয় নিচে এলে সালাউদ্দিন ও রুমির ওপর হামলা করে মাহবুবুর রহমানের ভাই ও ভাতিজারা। পরবর্তীতে সালাউদ্দিন ও রুমির লোকজন পাল্টা হামলা করে। খবর পেয়ে চৌদ্দগ্রাম পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এতে দুই পক্ষের অন্তত: ১০জন আহত হয়েছেন।
মাহবুবুর রহমান মজুমদার বলেন,ওরা সন্ত্রাসী। রুমি একটা মাদক ব্যবসায়ী। আপনার খবর নিলে সব জানতে পারবেন। মুজিব ভাই(স্থানীয় এমপি মুজিবুল হক) দেশে এলে কথা বলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।
নেয়ামত উল্লাহ মজুমদার রুমি বলেন, মাহবুবুর রহমান মজুমদার আমার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেছে। তা আমার হাতে লেগেছে। আমি এখন চিকিৎসা নিচ্ছি। এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক শাহজালাল মজুমদার ও সাবেক পৌর মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান বলেন,জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান বাবলুসহ আমরা কয়েকজন শনিবার উপজেলার হিংগুলা এলাকায় পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দেই। এতে তারা ক্ষুব্ধ হন। আমাদের প্রতিরোধ করতে বর্ধিত সভা ডাকা হয়। সেই সভাকে ঘিরে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে পড়েছে। কে কাউকে মানে না।
সভার সভাপতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পৌর মেয়র মীর হোসেন মীরু অনুষ্ঠানে আছেন বলে ফোন রেখে দেন। পরবর্তীতে কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রহমত উল্লাহ বাবুল বলেন,সভায় কোন সমস্যা হয়নি। সালাউদ্দিন ও মাহবুবের এগুলো ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব।
চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন,একটু উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিলো। আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করি। কেউ এখনো লিখিত কোন অভিযোগ দেয়নি।