হোটেল বয় থেকে কোটিপতি শান্ত! 

অফিস রিপোর্ট।
এ যেন আলাউদ্দিনের চেরাগ হাতে পেয়েছেন হোটেল বয় জসিম উদ্দিন শান্ত। কয়েক বছরের ব্যবধানে হয়ে গেছেন কোটিপতি। গ্রামের বাড়িতে গড়েছেন আলিশান বাড়ি। রয়েছে কুমিল্লা, ঢাকা ও চট্টগ্রামে নিজের হোটেলের ব্যবসা৷ বলছি, গত ২৮ ডিসেম্বর কুমিল্লা জেলা পুলিশের অভিযানে যৌন ব্যবসার অভিযোগে কুমিল্লার নিউ রাজধানী হোটেল থেকে নারীসহ ৩৩ জন গ্রেফতার হওয়া হোটেল মালিক শান্তর উত্থানের কথা৷ হোটেল বয় শান্ত মানব পাচার, নারী দিয়ে যৌন ব্যবসা ও মাদকের ব্যবসা নামক ‘আলাউদ্দিনের চেরাগ’ দিয়ে অল্প দিনে গড়েছেন টাকার পাহাড়। অসহায় ও চাকরী প্রত্যাশী তরুণীদের লোভ দেখিয়ে হোটেলে এনে জিম্মি করে যৌন ব্যবসার মাস্টার মাইন্ড হিসেবে পরিচিত কুমিল্লার শান্ত। ভিটেহীন শান্তর বাবা পরিবার চালাতেন মানুষের কাছে হাত পেতে সহায়তা নিয়ে৷ মাদক নারীদের দিয়ে বিভিন্ন স্থানে পৌছে দিয়ে ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। যৌন ব্যবসা ও মাদকের কারবারি শান্ত পুলিশ চোখকে ফাঁকি দিতে আছেন আত্মগোপনে। তার বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় রয়েছে মানব পাচারের অভিযোগে মামলা।
এমন অবৈধ ব্যবসায় শান্ত নিজ গ্রাম দেবিদ্বারে ফতেহাবাদ ইউনিয়নের নূরপুরে গড়ে তুলেছেন ডুপ্লেক্স বাড়ি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নুরপুর গ্রামের অন্তত ২০ জন সাধারণ মানুষ জানান, ‘দরিদ্র পরিবারে জন্ম শান্ত ছিলেন একটি সাদাসিদে হোটেলের কর্মচারী। মাদক ও পতিতাবৃত্তি ব্যবসার মাধ্যমে অল্প দিনে হয়ে উঠেছেন টাকার কুমির। গ্রামে তার বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললেই নারী দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকী দেন শান্ত’।
কুমিল্লা গোয়েন্দা পুলিশ সুত্রমতে, ‘শান্ত কুমিল্লা ও আশেপাশে জেলা গুলোতে আন্ত গোপন করে কার্যক্রম চালাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে দেবিদ্বার ও কোতোয়ালি থানায় রয়েছে একাধিক মামলা’।
চতুর শান্তকে একাধিক বার অভিযান পরিচালনা করেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে তার উপর গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে বলে জানা গেছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে জসিম উদ্দিন শান্তর মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেস্টা করা হলেও, নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
কুমিল্লা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ওসি রাজেস বড়ুয়া বলেন, ‘মানব পাচারের অভিযোগে নিউজ রাজধানী হোটেলের মামলায় হোটেল মালিক শান্ত ব্যতিত সকলকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। শান্তকে গ্রেফতারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।