জরুরি বিভাগে বালিশ নাই-পুরুষ রোগীর সেক্স ফিমেইল!

দালাল দিয়ে রোগী ধরে আনে ইউনাইটেড হাসপাতাল
দুই ঘন্টা আটকে রেখে বিল ২১ হাজার!

 প্রতিনিধি।।
আতর আলী। বয়স ৭০বছর। বাড়ি কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার একটি গ্রামে। রবিবার ভোরে অসুস্থ বোধ করেন। নিম্নবিত্তের মানুষ। সিএনজি অটো রিকশা যোগে স্বজনরা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তারা দালালের খপ্পরে পড়েন। এখানে ডাক্তার নেই। ভালো পরীক্ষা হয়না এই বলে তাদের নিয়ে আসেন নগরীর টমছম ব্রিজ ইউনাইটেড হাসপাতালে। ৯টার দিকে ভর্তি করেন। কোন সেবা না পেয়ে রোগীর স্বজন চলে যেতে চান। তখন ১১টার দিকে তাকে ২১হাজার ৪০টাকার বিল ধরিয়ে দেয়া হয়। এনিয়ে রোগীর ছেলে আবুল কাশেম প্রতিবাদ জানান। কোন পরীক্ষা বা সেবা ছাড়া কেন এত টাকা? হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোন টাকা কমাতে পারবেন না বলে জানান। রোগীর ছেলে সিভিল সার্জন অফিসে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাসপাতালটি সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

রবিবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ইউনাইটেড হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কোন বালিশ নেই। হাসপাতালে মোট দুইজন রোগী ভর্তি। দ্ইুজনকেই দালালের ফাঁদে ফেলে ধরে এনেছে। আরিফুল ইসলাম নামের অন্য রোগীর বিল দুই ঘন্টায় ১৬হাজার। তার সেক্সের স্থানে লেখা হয়েছে ফিমেইল! একজন চিকিৎসক থাকলেও তার কোন বিএমডিসির সার্টিফিকেট নেই।
রোগীর ছেলে আবুল কাশেম বলেন, হাসপাতালে যন্ত্রপাতি তেমন কিছুই নেই। মনে হলো একটি আবাসিক হোটেল। কোন সেবা নেই। ঢুকিয়েই বলে টাকা দেন। আমরা এই প্রতারণার বিচার চাই।
অভিযানে যাওয়া আদর্শ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.আহামদ মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন,আমরা একজন রোগীর অভিযোগ ও নিয়মিত তদারকির অংশ হিসেবে ইউনাইটেট হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করি। বিভিন্ন অনিয়মে এই হাসপাতালে পূর্বেও অভিযান চালানো হয়েছে। এটির লাইসেন্স হালনাগাদ নেই। পরীক্ষা মূল্য বেশি। হাসপাতালের পরিবেশ ও সেবার মান সন্তোষজনক নয়। তাই সাময়িক হাসপাতালটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।