জানালার পাশে নেয়ার পরেই মারা যায় মুনা

মাহফুজ নান্টু

inside post

কুমিল্লা মডেল কলেজর বাংলা বিষয়ের প্রভাষক তাহমিনা আক্তার মুনার মৃত্যু নিয়ে তৈরী হয়েছে ধ্রুমজাল। গত ৩১ আগস্ট রাতে কুমিল্লা নগরীর রেইসকোর্স এলাকার ভাড়া বাসায় অগ্নিদগ্ধের পর ৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মৃত্যু হয় মুনার।

মৃত্যুর দুইদিন পর মঙ্গলবার দিনগত রাত ১টায় (৭ সেপ্টেম্বর বুধবার) স্বামী সুমন সালাউদ্দিনকে একমাত্র আসামী করে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন নিহতের ভগ্নিপতি মো. তরিকুল ইসলাম। ওই মামলায় স্বামী সুমন সালাউদ্দিনকেই একমাত্র আসামী করা হয়েছে বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হানিফ সরকার।

কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহিদুর রহমান বলেন, আমরা আসামীকে গ্রেফতার করতে চেষ্টা করছি। তারপরেই বলতে পারবো এটা হত্যা আত্মহত্যা নাকি দূর্ঘটনাজনিত প্রানহানী।

গত ৩১ আগষ্ট রাতে অগ্নিদ্বগ্ধ হওয়ার পর কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয় মুনাকে। সেখানে উপস্থিত একজন জানান, মুনা বলছিলেন আমার খুব শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। আমি বাঁচতে চাই। পরে সেখান থেকে ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে নেয়া হয়। প্রায় পাঁচদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ৪ অগাস্ট সন্ধ্যায় মারা যায় মুনা।

ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটের একজন সেবিকা নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, সেদিন ( ৪) অগাস্ট আমার ডিউটি ছিলো। আমি আইসিইউতে দায়িত্বরত ছিলাম। মুনা আপা আমাকে ডাকলেন। আমি কাছে গেলাম। আমাকে বললো আমি একটু জানালার পাশে যেতে চাই। তখন প্রায় সন্ধ্যা। আমি মুনা আপার বেড ঠেলে নিয়ে জানালার কাছে নেই। জিজ্ঞেস করি জানালার পাশে কেন? তখন মুনা বলে আমি সন্ধ্যা দেখবো। আমি সন্ধ্যার বাগানটা দেখবো। আমি তখন মুনা আপাকে জানালার পাশে নিয়ে যাই। মুনা বাইরে তাকান। তখন দেখি আপার চোখে পানি। তার কিছুক্ষন পরেই তিনি চোখ বন্ধ করেন। তারপর কয়েকবার ডাকলাম । আপা আর চোখ খুলেন নি…………………..

আরো পড়ুন