‘জামায়াতের সঙ্গে ফখরুল’
আমোদ ডেস্ক।।
দীর্ঘদিন ধরে দলের অন্যতম রাজনৈতিক মিত্র বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে ছাড়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা। সর্বশেষ দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকগুলোতেও জামায়াত ছাড়ার বিষয়টি জোরেশোরে আলোচনা হয়।
- এদিকে জামায়াত ছাড়ার বিষয়ে দলের মধ্যে যখন যুক্তি-তর্ক ও বিতর্ক চলছে ঠিক তখন গত ১৯ সেপ্টেম্বর জামায়াতের এক শীর্ষ নেতার সঙ্গে এক আলোচনায় অংশ নেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ওই আলোচনা সভার পর থেকেই বিএনপির একটি অংশ মির্জা ফখরুলের প্রতি ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। তবে বিষয়টি নিয়ে দলটির কোনো সিনিয়র নেতা সরাসরি মুখ খুলছেন না।
১৯৭১ সালে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি ও দণ্ড কার্যকর হয়েছে। অপরদিকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় বেকায়দায় রয়েছে জামায়াতের নেতৃত্ব। তাই প্রকাশ্যে দলীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে না পারায় বিএনপির কাঁধে ভর করা ছাড়া উপায় নেই দলটির। তাই বিদ্যমান পরিস্থিতিতে কৌশল পাল্টে সরকারের চাপ এবং বিদেশিদের চোখে ধুলো দিতে রাজনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে রাখঢাক করে চলেছে বিএনপি ও জামায়াত।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের উদ্যোগে ‘মুক্ত সাংবাদিক অন্তর্ধান’ দিবস উপলক্ষে এক ভার্চুয়াল আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন মির্জা ফখরুল। আর ওই আলোচনায় জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া মো. গোলাম পারোয়ারও আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এরপর থেকেই মূলত মির্জা ফখরুলের প্রতি ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিএনপির নেতারা।
এবিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক সিনিয়র নেতা বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে যখন জামায়াতকে ছাড়ার বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে, তখন জামায়াতের শীর্ষ এক নেতাকে নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের আলোচনায় যাওয়া ঠিক হয়নি। কারণ বিএনপি জামায়াতকে ছাড়বে কি না-এ ইস্যুতে এখনো বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আলোচনা চলমান।
এবিষয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জামায়াতে ইসলামী এখনো ২০ দলীয় জোটের সদস্য আছে।
বিএনপির পরে জামায়াত জোটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য কি না- এই প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, এটা কখনো সঠিকভাবে বলা ঠিক হবে না। কারণ ২০ দলীয় জোটে যারা আছে তারা সবাই গুরুত্বপূর্ণ।