ডিসি-ইউএনও অফিসের ১২হাজার কর্মচারীর পদ মর্যাদা বৃদ্ধির দাবি
আমোদ ডেস্ক।।
জেলা প্রশাসক (ডিসি), উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) ও উপজেলা ভূমি অফিসের ৩য় শ্রেণীর ১২ হাজারের বেশি কর্মচারী পদ মর্যাদা বৃদ্ধির দাবিতে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি করেছেন। বাংলাদেশের সকল কালেক্টরেটের কর্মচারীরা একযোগে কর্মবিরতি করছেন। সারা দেশের মতো বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতি কুমিল্লা জেলা শাখার উদ্যোগে সোমবারও ২য় দিনের মতো কর্মবিরতি করেন কর্মচারীরা। কর্মচারীরা কাজ ফেলে আন্দোলনে থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সেবা গ্রহীতারা। কুমিল্লা কালেক্টরেটে কর্মচারীরা অফিস আঙিনায় বিক্ষোভ করছেন। বক্তব্য রাখেন কালেক্টরেট সহকারী সমিতি কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি মো: আবু হানিফ, সিনিয়র সহ-সভাপতি সুলতান মোঃ নাছির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো: আরিফুর রহমান প্রমুখ। বক্তারা বলেন, ১৫-২৯ নভেম্বর পর্যন্ত পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করবেন। দাবি পূরণ না হলে ৬ডিসেম্বর ঢাকায় মানবন্ধন করে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়া হবে।
সেবা গ্রহীতা মেঘনা উপজেলার আবুল কালাম বলেন,অনেক দূর থেকে এসেছি। ডিসি অফিসে এসে কাউকে পাচ্ছিনা। স্টাফরা নাকি তাদের দাবি আদায়ে আন্দোলন করছেন। এতে ভোগান্তিতে পড়েছি।
দেবিদ্বার সহকারী কমিশনারের (ভূমি) অফিস থেকে সম্প্রতি অবসরে যান আক্তার হোসেন। তিনি বলেন,৩০বছর চাকরি করে অবসরে গেছি। অফিস সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করেছি। সেই পদ থেকেই অবসরে গেছি। মন্ত্রণালয়ে কর্মরতরা পদোন্নতি পেলে মাঠ প্রশাসনের স্টাফরা কেন পাবে না?
বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতির কেন্দ্রীয় মহাসচিব মো: আনোয়ার হোসেন বলেন, ২০০১সাল থেকে পদোন্নতির দাবি জানিয়ে আসছি। মন্ত্রণালয়ে অফিস সহকারী থেকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হয়,তবে মাঠ প্রশাসনে ভিন্ন নিয়ম। মাঠ প্রশাসনের কর্মচারীরা বঞ্চনার শিকার। অনেকে দাবি আদায়ের আন্দোলন করতে করতে অবসরে গেছেন,কিন্তু পদ মর্যাদা বাড়েনি। রাত ১২টা পর্যন্ত, কখনও সারা রাত কাজ করেও ওভারটাইম পাই না। বেতন স্কেল বাড়ে না।
জেলা প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,তারা কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আন্দোলন করছে। তাদের দাবি পূরণে স্থানীয় ভাবে কিছু করার সুযোগ নেই। কর্মবিরতিতে অফিসের কিছু সমস্যা হলেও ৪র্থ শ্রেণী দিয়ে কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন।