তারা ভুয়া নিয়োগপত্র ধরিয়ে দিয়ে, হাতিয়ে নিতো মোটা অংকের টাকা
আমোদ ডেস্ক।।
চাকুরি দেওয়ার নামে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে নিয়োগ দিয়ে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিল একটি চক্র। ভুয়া সিল,প্যাড ও লোগো ব্যবহার করে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে দিনের পর দিন প্রতারণা করে আসছিল এই চক্রটি। এমন অভিযোগের সত্যতা পেয়ে এরকম পাঁচজন প্রতারককে গ্রেফতার করেছে দক্ষিণখানা থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- ছাদেক আলী, ইয়াকুব, শাকিলা ইসলাম, ওবায়দুল ও শাহজাহান। ভূক্তভোগীদের নির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২৩ নভেম্বর সকাল ১১.০০ টা থেকে রাত ১০.০০ টা পর্যন্ত উত্তরার দক্ষিণখান, তুরাগ ও উত্তরা পূর্ব থানা থেকে এই প্রতারক চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করে দক্ষিনখান থানা পুলিশের তিনটি টিম। পরবর্তী সময়ে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এসব প্রতারকদের কাছ থেকে বিভিন্ন ব্যাংকের ব্ল্যাংক চেক ও অন্যান্য চেক (যেগুলোতে উল্লেখিত টাকার পরিমাণ এক কোটি দুই লক্ষ আটষট্রি হাজার টাকা), সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার ৩০ টি ভুয়া নিয়োগপত্র, পাসপোর্ট, জাল সীলমোহর, কয়েকটি ব্যাংকের অব্যবহৃত চেক বই, ১২ টি জমির দলিল ও ১৬৮ টি জন চাকুরিপ্রার্থীর জীবনবৃত্তান্তসহ প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।
উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. শহীদুল্লাহ বিপিএম, পিপিএম জানান- গ্রেফতারকৃত প্রতারকরা মূলত গ্রামের সহজ-সরল শিক্ষিত বেকার যুবকদেরকে টার্গেট করে বিভিন্নভাবে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে ভুলিয়ে-ভালিয়ে চাকুরি দেওয়ার লোভ দেখাতো। একসময় তাদেরকে ভুয়া নিয়োগপত্র ধরিয়ে দিয়ে হাতিয়ে নিতো মোটা অংকের টাকা, জমির দলিল কিংবা মূল্যবান কোন জিনিসপত্র।
পুরো অভিযানটির নেতৃত্বদানকারি দক্ষিণখান জোনের এডিসি এএসএম হাফিজুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি দীর্ঘদিন থেকে চাকুরি দেওয়ার নাম করে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে একটি চক্র প্রচুর টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। পরবর্তী সময়ে আমরা টানা তিনদিন এদের পেছনে লেগে থেকে এদেরকে ধরতে সক্ষম হই। এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদের ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি।
সূত্র: ডিএমপি নিউজ