শিক্ষক ও সাংবাদিকদের নিয়ে বক্তব্য প্রসঙ্গে কুবি ভিসি

 

inside post

সম্প্রতি কিছু গণমাধ্যমে আমার বক্তব্যের একটি অংশ উদ্ধৃত করে প্রকাশ করা হয়েছে—“শিক্ষকরা সাংবাদিকদের টাকা ও মোবাইল দেয়।” উক্ত সংবাদ প্রকাশের পর শিক্ষক ও সাংবাদিক সমাজের অনেকেই এতে মর্মাহত হয়েছেন।

আমি স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, আমার বক্তব্য কোনোভাবেই শিক্ষক বা সাংবাদিক সমাজের প্রতি সার্বিকভাবে করা হয়নি। এটি কেবল কিছু ব্যক্তি সম্পর্কে, যারা ব্যক্তিগত স্বার্থে এ ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত।

আমি নিজেও একজন শিক্ষক। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ শিক্ষার্থীদের কল্যাণে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছেন এবং একটি অগ্রগামী ও আদর্শিক জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। তাঁদের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা রয়েছে। তবে বাস্তবতায় দেখা যায়, অল্পসংখ্যক শিক্ষক মাঝে মাঝে সাংবাদিকদের ব্যবহার করে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করেন এবং শিক্ষাঙ্গনে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে তৎপর হন। আমার মন্তব্য শুধুমাত্র সেই সীমিত পরিসরের শিক্ষকদের সম্পর্কেই ছিল।

আমি পুনরায় স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমার বক্তব্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বা দেশের কোনো শিক্ষককে উদ্দেশ্য করে করা হয়নি। তাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সকল শিক্ষককে অনুরোধ করছি, আমার বক্তব্যকে বিকৃতভাবে ব্যাখ্যা না করার জন্য। বাস্তবে আমার বক্তব্যের মূল ভাব কিছু গণমাধ্যমে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে।

সাংবাদিকরা দেশের চতুর্থ স্তম্ভ। বিশেষ করে জুলাই আন্দোলনে ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের ভূমিকা ঐতিহাসিক ও প্রশংসনীয়। তাঁরা মূলধারার গণমাধ্যমের পাশাপাশি সে সময়ের ঘটনাবলি জনগণের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। আমার মন্তব্য কোনোভাবেই দেশের সকল সাংবাদিক বা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে নয়। এটি কেবল কিছু বিপথগামী সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে, যারা অর্থের বিনিময়ে সংবাদ বিকৃতভাবে প্রচার করে এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের চেষ্টা করে।

আমি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের সকল ক্যাম্পাস সাংবাদিকের প্রতি আহ্বান জানাই, আমার বক্তব্যকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা না করতে। শিক্ষক ও সাংবাদিক সমাজ দেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্র রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, এবং তাঁদের প্রতি আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা ও সমর্থন রয়েছে।

আমাদের কাছে কিছু প্রাথমিক তথ্য ও প্রমাণ রয়েছে, যা প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে যথাযথ প্রক্রিয়ায় উপস্থাপন করা হবে।

আমি বিশ্বাস করি, শিক্ষক ও সাংবাদিক সমাজ একসাথে কাজ করলেই শিক্ষাঙ্গন হবে আরও স্বচ্ছ, দায়িত্বশীল ও অগ্রগতিমুখী।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

আরো পড়ুন