দেবিদ্বারে সেই দিন হাজারো অস্ত্রধারীর কবলে শিক্ষার্থীরা
আল আমিন কিবরিয়া।।
৪ আগস্ট। দেবিদ্বারের জন্য এক ভয়াবহ দিন। এ দিনে কোটা বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী ও সমর্থকদের ওপর প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ। তাদের অস্ত্রের আঘাতে ও গুলিতে এক বাস চালক নিহত ও ৩০ শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ আহত হয়েছেন।
ওইদিন আগ্নেয়াস্ত্র ও রাম দা হাতে দেবিদ্বারে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী ও সমর্থকদের হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, গুনাইঘর উত্তর ইউনিয়নের ধলাহাস গ্রামের সন্ত্রাসী সালাউদ্দিন, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক আসিফ বিন লতিফ ও গোলাম মহিউদ্দিন সবুজ, দেবিদ্বার পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগের জহির, ফতেহাবাদ ইউনিয়নের ফরহাদ হোসেন শুভ, পৌর ৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি বাসার সরকার, ভানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী জালাল, খাদঘরের চিহ্নিত সন্ত্রাসী আলাউদ্দিন, খাদঘরের চিহ্নিত সন্ত্রাসী একে শিপলু খান, জাফরগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাঈদ সরকার ও সাধারণ সম্পাদক ইনজামামুল হক, দেবিদ্বার পৌর চেয়ারম্যান বাড়ির মো সুমন ও আল-আমিন।
এছাড়াও অন্তত একশতাধিক আগ্নেয়াস্ত্রধারী ও পাঁচ শতাধিক হাসিনা সর্মথকে রামদা হাতে দেখা গেছে।
শিক্ষার্থী এনামুল হক বলেন, ৪ আগস্ট কখনো ভুলতে পারবনা আমি। মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে ফিরেছি। ওই সকালে আমরা আন্দোলনের করতে দেবিদ্বার এস এস সরকারি কলেজের সামনে সমবেত হওয়ার জন্য যাই। কিন্তু এর মধ্যে আওয়ামী লীগের হাজারো বেশি অস্ত্রধারীরা চরদিক দিক থেকে ঘিরে ধরে।