দেবিদ্বার উপজেলা চেয়ারম্যানের গাড়ি ভাঙচুর, গুলি বর্ষণ

অফিস রিপোর্টার।।
কুমিল্লার দেবিদ্বারে পূজাম-প পরিদর্শনে গিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো.আবুল কালাম আজাদ হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এসময় তার ব্যবহৃত ব্যক্তিগত গাড়ি ভাঙচুর ও সরকারি গাড়িতে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়া হয় বলেও জানা গেছে। পরে নেতা-কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে নিরাপদে সরিয়ে নেন। পৌরসভার ভিংলাবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যান সমর্থিত ৫জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন, ভিংলাবাড়ি এলাকার মো. জহির, মাহবুব হোসেন এবং বানিয়াপাড়া এলাকার হিমেল ও শুভ। আহতদের মধ্যে ভিংলাবাড়ি এলাকার মো. সজিব মিয়াকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ সোমবার রাতে নেতা-কর্মীদের নিয়ে পৌরসভার আলিয়াবাদ এলাকায় পূজাম-প পরিদর্শনে যান। একই সময়ে স্থানীয় এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুলও তার নেতা-কর্মীদের নিয়ে একই এলাকায় পূজাম-প পরিদর্শনে আসেন। একপর্যায়ে বহরের গাড়ি রাখা নিয়ে উভয়ের নেতা-কর্মীদের বাক-বিত-া হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ তার গাড়ি বহর নিয়ে পৌরসভার ফতেহাবাদ এলাকার একটি পূজাম-প পরিদর্শন শেষে ভিংলাবাড়ি এসে স্থানীয় এক নেতার বাড়িতে চা খাচ্ছিলেন। এসময় এমপি রাজী ফখরুলের গাড়ি বহর আলিয়াবাদের ম-প পরিদর্শন শেষে ফতেহাবাদ এলাকার অন্য আরেকটি ম-পে যাওয়ার পথে এমপির নেতা-কর্মীরা মোটরসাইকেল থেকে আবুল কালাম আজাদ ও তার নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে করে আপত্তিকর স্লোগান দিলে আবুল কালাম আজাদের নেতা কর্মীরাও পাল্টা স্লোগান দেন। এসময় আবুল কালাম আজাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। আবুল কালাম আজাদ গাড়ি থেকে বের হয়ে পরিস্থিতি শান্তের চেষ্টা করলে তার ওপরও হামলার ঘটনা ঘটে। তাকে উদ্দেশ্যে করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়া হয় বলেও অভিযোগ উঠে। এদিকে এমপি রাজীর লোকজনের দাবি তাদের ওপরও হামলার ঘটনা ঘটেছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিটি পূজাম-প পরিদর্শন করেছি। স্থানীয় এমপি রাজী ফখরুলের নেতা-কর্মীরা তুচ্ছ বিষয় নিয়ে আলিয়াবাদ এলাকায় আমার নেতা-কর্মীদের মারধর করে। পরে আমি আমার নেতা-কর্মীদের নিয়ে ফতেহাবাদ এলাকায় একটি পূজাম-প পরিদর্শন শেষে ভিংলাবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে পুনরায় তারা হামলা চালায়। আমি থামাতে গেলে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কয়েক রাউন্ড গুলি করা হয়। সন্ত্রাসীরা আমার ব্যবহৃত গাড়িটি ভাঙচুর করেছে। আমার সরকারি গাড়িতেও গুলি করেছে, সৌভাগ্যক্রমে আমি বেঁচে যাই। আমার ৫/৬জন নেতা-কর্মীকে পিঠিয়ে ও কুপিয়ে আহত করেছে। এর মধ্যে গুরুতর আহত সজিব নামে একজনকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে সংসদ সদস্য রাজী ফখরুলকে ফোন দিলে তিনি বলেন, আমি ব্যস্ত আছি পরে কল করুন। পরে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, ঘটনা শোনার সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ বিষয়ে আমরা তদন্ত করছি। তদন্তের পর বিস্তারিত জানানো হবে।