ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মামলায় গ্রেফতার বাড়বে

 

কুমিল্লার নানুয়ার দিঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ পাওয়ার দিন ১৩ অক্টোবর দুপুরে নগরীর মনোহরপুরের রাজেশ্বরী কালিমন্দিরে ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এসময় মাথায় পাথরের আঘাত লাগে দিলীপ দাসের (৬২)। তিনি নগরীর গাঙচর এলাকার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টার সময় ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় তার স্ত্রী পূজা রাণী বাদী হয়ে কুমিল্লার কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ৫০-৬০জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কমল কৃষ্ণ ধর।
তিনি জানান, নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আমরা তদন্ত করে দেখছি। এ মামলায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।
এদিকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মামলায় গ্রেফতার চারজনের বাইরে আরও একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন সিআইডি কুমিল্লার পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজোয়ান।
তিনি জানান, রিমান্ডে থাকা চার আসামিকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এদের মধ্যে দায় স্বীকার করেছে ইকবাল। তবে কারা ইন্ধনদাতা তা স্বীকার করছে না সে। বাকি আসামিদের কেউ দায় স্বীকার করেনি। আমরা তদন্ত করে দেখছি। ভিডিও ফুটেজগুলো বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। তদন্তে বেরিয়ে আসলে এ মামলায় আরও একাধিক ব্যক্তি গ্রেফতার হতে পারে। মামলাটি ডিজিটালি ও অ্যানালগ দুইভাবেই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আমরা মামলাটির কনক্রিট কনক্লুশানে পৌঁছানোর চেষ্টা করছি। যদি কেউ ইনভলভ থাকে টেকনোলজি এলিমেন্টগুলো আমাদের হাতে চলে আসবে।
তিনি আরও জানান, আমাদের ১০জন কর্মকর্তা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। স্বতঃস্ফূর্তভাবে তারা যেন তথ্য দেয়, সে আবহ তৈরি করা হয়েছে। রিমান্ড শেষ হলে ইকবালের ব্যাপারে নতুন করে রিমান্ড আবেদন করা হতে পারে।