ধ্বংস হচ্ছে ১৩শ’ বছরের পুরাকীর্তি

কুমিল্লার গোমতী নদীর উত্তর পাড়ে পাঁচথুবী ইউনিয়নে ১৩শ’ বছরের তিনটি পুরাকীর্তির সন্ধান মিলেছে। পুরাকীর্তি গুলো কেটে নিয়ে ধবংস করা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে,পুরাকীর্তির মাটি ও ইট নিয়ে ঘরের কাজ করা হচ্ছে। কোথাও ইট নিয়ে গরু ঘরের ফ্লোর করা হচ্ছে। সেগুলো হচ্ছে পাঁচথুবী ইউনিয়নের ইটাল্লা গ্রামে মোহন্তরাজার বাড়ি তথা মোহন্তের মুড়া, শরীফপুরে বৈষ্ণবরাজার বাড়ি তথা বৈষ্ণব মুড়া ও বসন্তপুর গ্রামে বসন্তপুরের বসন্ত রাজার বাড়ি। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, শরীফপুরে বৈষ্ণবরাজার বাড়ি তথা বৈষ্ণব মুড়া ও বসন্তপুর গ্রামে বসন্তপুরের বসন্ত রাজার বাড়ি। এনিয়ে সাপ্তাহিক আমোদ পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়।

সংবাদে উল্লেখ করা হয়, মোহন্তের মুড়ার উপর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স করা হয়েছে। এর পাশের এলাকা দখল হয়ে যাচ্ছে। বৈষ্ণবমুড়ার মাটি ও ইট নিয়ে গরু ঘরে ফ্লোর করা হচ্ছে। বসন্ত রাজার বাড়িতে এখন কবরস্থান। সেখানের ইট তুলে নিয়ে অনেকে বাড়ির কাজে লাগাচ্ছেন। কুমিল্লা শালবন বিহার থেকে প্রায় ১৫কি.মি. ও নগরী থেকে চার কি.মি. উত্তর-পূর্ব দিকে কুমিল্লা সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়ন। পাঁচটি বৌদ্ধ স্তূপ থাকার কারণে এই এলাকার নাম হয় পাঁচথুবী। দীর্ঘদিন স্তূপ গুলো অবহেলায় বিনষ্ট হচ্ছে। স্তূপ গুলোর তিনটি শনাক্ত করা হয়েছে।
সুধীজনদের মতে,বিনষ্ট হচ্ছে ১৩-১৫শ’ বছরের প্রাচীন এই সভ্যতা। এই পুরাকীর্তি গুলো রক্ষা করা খুবই জরুরি। এগুলো সংরক্ষণ করে সরকার রাজস্ব আয় বাড়াতে পারে।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুর্শেদ রায়হান বলেন,আমরা পরিদর্শনে গিয়ে তিনটি পুরাকীর্তি দেখেছি। সেগুলোর মাটি কেটে নিয়ে ধ্বংস করছেন অনেকে। এগুলোর দ্রুত সংরক্ষণ না করলে তা হারিয়ে যাবে।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের আঞ্চলিক পরিচালক ড. মো: আতাউর রহমান বলেন, শালবন বৌদ্ধ বিহার ও পাঁচথুবী এলাকা নিকটবর্তী। ধারণা করছি সব গুলো স্থাপনা একই সময়ের। পুরাকীর্তি গুলো পরিদর্শন দেখেছি। এবিষয়ে আমরা কর্তৃপক্ষের নিকট লিখেছি। বরাদ্দ পেলে খনন করে সেগুলো সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

আমরা মনে করি, পাঁচথুবী ইউনিয়নের ইটাল্লা গ্রামে মোহন্তের মুড়া, শরীফপুরে বৈষ্ণব মুড়া ও বসন্তপুর গ্রামে বসন্তপুরের বসন্ত রাজার বাড়ি মূল্যবান পুরাকীর্তি। এগুলো এখনই সংরক্ষণের উদ্যোগ নিতে হবে। নতুবা সেগুলো ধ্বংস হয়ে যাবে। এগুলো সংরক্ষণ করে ইতিহাস ঐতিহ্য রক্ষায় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগ নেয়ার আহবান জানাচ্ছি।