নগরীতে চলছে পুকুর-দিঘি ভরাটের মৌসুম!

নগরীতে চলছে পুকুর-দিঘি ভরাটের মৌসুম। এনিয়ে গত সপ্তাহে সাপ্তাহিক আমোদ পত্রিকায় দুইটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। একটি হচ্ছে,উজির দিঘি ভরাটের পরিকল্পনা অন্যটি নগরীর ছোটরা জংলিবিবি পুকুরের একাংশ ভরাটের পর বাজার বসানো হয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর চার ব্যক্তিকে দুই লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। জরিমানার পরও ভারাটকৃত মাটি না সরানোর ফলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।

inside post

সংবাদে উল্লেখ করা হয়, জংলিবিবি মসজিদের প্রয়োজনে প্রায় ৩শ বছর পূর্বে খনন করা হয় জংলিবিবি পুকুর। যা এলাকা ও মসজিদের মুসল্লিরা দীর্ঘদিন ব্যবহার করে আসছে। গত কয়েক বছর এ পুকুর ভরাটের অভিযোগ উঠেছে।

২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাসুদুর রহমান মাসুদ বলেন, পুকুরটি কচুরিপানায় পরিপূর্ণ। পুকুরটি করা হয়েছিলো মুসল্লিদের জন্য। যদি এটি পরিষ্কার থাকে, মসজিদের মুসল্লিরা অজু করতে পারবে। এলাকাবাসী গোসল করতে পারবে। ভরাটের বিষয়ে আমাকে কেউ অবগত করেনি।
ছোটরা এলাকার বাসিন্দা খোরশেদ আলম বলেন, বড় বড় ভবন হচ্ছে এখানে। যদি অগ্নিকাণ্ড হয় কোথাও পানি পাওয়া যাবে না। এটি এলাকার একমাত্র পুকুর।

কাজী শফিকুর রহমান বলেন, শুনেছি যারা ভরাট করেছে তাদের নাকি জরিমানা করেছে। এখন কাজ হলো যেই ভরাট করুক পুকুর থেকে এ মাটি তুলতে হবে। পুকুরের যে কচুরিপাড়া তা পরিষ্কার করতে হবে।

সবুজ পরিবেশ আন্দোলন কুমিল্লার সভাপতি কাজী শারমিন আউয়াল পারভেজ বাপ্পি বলেন, সরকারিভাবে পুকুর ভরাট করা নিষেধ। প্রভাবশালীরা এটি ভরাট করে বাজার ও দোকান করতে চায়। এ পুকুরের মূল মালিক দশ জন। তাদের সন্তান আছে এখন ৩৫-৪০ জন। পুকুর ভরাটের নেপথ্যে এ মালিকদের কেউ কেউ জড়িত আছে।

পরিবেশ অধিদফতর কুমিল্লার উপ-পরিচালক শওকত আরা কলি বলেন, বিভাগীয় ব্যবস্থাপনায় জংলিবিবি পুকুর ভরাটের অভিযোগে চারজন প্রভাবশালী ব্যক্তিকে দু’লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযুক্তরা বিষয়টি অষ্কিকার করেছে, তারা আইনি ভাবে লড়াই করতে চায়। সরকরি আইনে পুকুর ভরাটের বিষয়টি কঠিন ভাবে নিষেধ আছে। শুধু সরকারি প্রয়োজনে পুকুর ভরাট করা যেতে পারে, তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বিশেষ ভাবে অনুমোদন নিতে হবে।

আমরা মনে করি,নগরীকে বাঁচাতে পুকুর দিঘি রক্ষা করতে হবে। ভরাট বন্ধে প্রশাসনকে আরো তৎপর হতে হবে। প্রয়োজনে ব্যক্তি মালিকানা পুকুর গুলো সরকার অধিগ্রহণ করতে পারে। এবিষয়ে দ্রুতই ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।

আরো পড়ুন