নগরীর ফুটপাত ও সড়ক দখল করে ব্যবসা
আবু সুফিয়ান রাসেল।।
কুমিল্লা নগরীর গুরুত্বপূর্ণ ফুটপাত ও সড়ক দখল হয়ে আছে। এতে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন নগরবাসী। ব্যস্ততম মহানগরীর প্রায় প্রতিটি মোড়েই এখন তীব্র যানজট।
নগর কর্তৃপক্ষ বলছে, অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ চলমান। সড়ক সম্প্রসারণ করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর কান্দিরপাড় সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত মূল সড়কে ব্যবসা করেন হকাররা। লিবার্টি চত্বর এলাকায় ভ্যানে মালামাল বিক্রি করেন অনেকে। মনোহরপুর সড়কের দু’পাশে হরেক রকমের পসরা সাজিয়ে বসেন অস্থায়ী দোকানিরা। রাজগঞ্জ থেকে চকবাজারের রোজ চিত্রও এমন।
অপরদিকে কান্দিরপাড় থেকে পুলিশ লাইন পর্যন্ত সড়কের কিছু কিছু স্থানে সম্প্রসারণ করা হয়েছে।
সম্প্রসারিত নতুন সড়কের সুফল ভোগ করছেন মৌসুমী পিঠা বিক্রেতা ও ভ্যানের কাপড় বিক্রেতারা। জিলা স্কুল সড়কের দু’পাশ যেনো অবৈধ গাড়ি পার্কিং করার বৈধ স্থান। কান্দিরপাড় থেকে টমছমব্রিজ এলাকার সড়কের অধিকাংশ জায়গা দখল করেছে প্রভাবশালীরা। ইপিজেড ফটকের সামনে সন্ধ্যায় বসেন শতাধিক হকার। কান্দিরপাড় থেকে রাণিরবাজার সড়কে অর্ধেক থাকে হকারদের দখলে।
নগরীর ঝাউতলার বাসিন্দা বি এম মালেক রিপন বলেন, আমরা সিটি কর্পোরেশনকে ট্যাক্স দেই নাগরিক সুবিধার জন্য। যদি সড়ক ফুটপাত দখলে থাকে, এটি নগর কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা।
সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) কুমিল্লার সদস্য আইরিন মুক্তা অধিকারী বলেন, কোটি টাকা ব্যয় করে সড়ক করা হয়েছে নাগরিকদের জন্য। ফুটপাত নাগরিক অধিকার। দখলবাজির কারণে উন্নয়নের সুফল পাচ্ছে না নগরবাসী। মেয়র সাহেব যদি আন্তরিক ভাবে চান, তাহলে একমাসে সড়ক-ফুটপাত দখল মুক্ত করা সম্ভব।
এ বিষয়ে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ( ভারপ্রাপ্ত) হাবিবুর আল-আমিন সাদী বলেন, যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বেশ কয়েকটি সড়ক সম্প্রসারণ করেছি। অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ চলমান। আর বড় কথা হলো, এ কাজটিতে সকলের সহযোগিতা দরকার। নয়তো দুপুরে উচ্ছেদ করবো, রাতে দখল হয়ে যাবে।