নাড়ি কেটে ফেলায় প্রসূতির মৃত্যু!
প্রতিনিধি।
এক প্রসূতির নাড়ি কেটে ফেলায় মূত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার পরিবার। কুমিল্লা নগরীর ঝাউতলায় এইচ আর হসপিটালে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার রোগীর স্বজনরা এই অভিযোগ করেন।
নিহত ইসরাত জাহান এরিন (২০) কুমিল্লা সদর উপজেলার শিমপুর গ্রামের মোবারক হোসেনের মেয়ে। বছরখানেক আগে পাশের ভুবনঘর গ্রামের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ইসমিত পাশা দিদারের সাথে তার বিয়ে হয়।
স্বামী ইসমিত পাশা দিদার অভিযোগ করেন, চিকিৎসক সিজারের সময় এরিনের নাড়ি কেটে ফেলে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার স্ত্রীর মৃত্যু হয়। ইসমিত আর্তনাদ করে বলেন, একজন চিকিৎসকের ভুলে তার স্ত্রী মারা গেলো। সদ্য জন্ম নেয়া ছেলেটিও মাকে হারালো।
ইসরাত জাহান এরিনের মামা হাসনাত জানান, বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর ঝাউতলায় অবস্থিত এইচ আর হসপিটালে এরিনকে ভর্তি করানো হয়। এইচ আর হাসপাতালে বৃহস্পতিবার রাতেই ডা. নিঝুম অপারেশন করেন। শুক্রবার দুপুরে এরিনের অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক এরিনের পালস খুঁজে না ফেলে তাকে আইসিউতে নেওয়ার পরামর্শ দেন। এরিনের স্বজনরা পার্শ্ববর্তী মুন হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করানোর পর এরিনের পেটে রক্তক্ষরণ হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানান। ততক্ষণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যান এরিন। চিকিৎসক নিঝুমের নাড়ি কেটে ফেলায় তার ভাগনির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
প্রসূতি এরিনের বাবা মোবারক হোসাইন বলেন, তারা আমার মেয়ের নাড়ি কেটে ফেলেছে। আমাকে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে সময় পার করেছে। নার্সরা অনেক দুর্ব্যবহার করেছে। তাদের ভুল চিকিৎসায় আমার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার বিচার দাবি করছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম জানান, শুক্রবার রাতে ঘটনা শুনে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আক্তার জানান, তিনি ঘটনা শুনেছেন এবং তদন্ত টিম গঠন করেছেন। তদন্তে যারা দোষী হবেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।