নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা দাবি

অফিস রিপোর্টার।।

inside post

মানুষ যখন নিজের বাঁচার অধিকার হারিয়ে ফেলে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায় তখন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তির দৃষ্টি কামনা করে একটু বেঁচে থাকার জন্য। মনের আকুতি দিয়ে দেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তির হস্তক্ষেপ কামনা করেন যেন বাবা, মা,স্ত্রী ও সন্তানাদি নিয়ে এ পৃথিবীতে একটু স্বাভাবিক ভাবে বাঁচতে পারেন। এই আকুতি মওদুদ আবদুল্লাহ শুভ্রর।

তিনি কুমিল্লা জেলা প্রশাসক বরাবর ২৭ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। একই তারিখে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার বরাবর এবং কুমিল্লা র‍্যাব ১১ কোম্পানি কমান্ডার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।

গত বছরের ৪ ডিসেম্বর জেলা ডিজিএফআই এবং এনএসআই কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।

দীর্ঘ সাত মাসে পুলিশ এজহারনামীয় মাত্র একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছে। বাকি আসামিরা এখনও ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। এতে প্রাণনাশের শঙ্কা নিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করছেন তিনি।

মওদুদ শুভ্র জানান, আমার স্ত্রী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত। তাকে সন্ত্রাসীরা কলেজে যাওয়ার সময় এসিড মারার হুমকি দেয়। যার জন্য আমার স্ত্রীর কলেজে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে । ভিকটিম শুভ্রর ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইমো তথ্য প্রযুক্তি অপব্যবহার করে হ্যাকিং ও ক্লোনিং করাসহ পরোক্ষ লোক দ্বারা জনমনে অপূরণীয় ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যে নানাবিধ তথ্য বিভ্রান্তি ও তথ্য গুজব চাঁদাবাজি ও মামলা প্রত্যাহার করার অসৎ উদ্দেশ্যে উক্ত কথিত প্রশাসনের নাম ধারী ” স্যার গ্রুপ ” নামীয় অস্ত্রধারী দুঃস্কৃতিকারিরা।

এ বিষয়ে মওদুদ শুভ্র বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের সাবেক ক্ষমতাসীন নেতার অনুসারী সন্ত্রাসীরা আমার বাসার সামনে পুরাতন চৌধুরী পাড়ার ডেলুনি বাড়ি গলিতে কালিবাড়ির পুকুর পাড়ে দু’টি মোটরসাইকেলে এসে অস্ত্র দেখিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যায়। এসময় তারা ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমাকে মামলা প্রত্যাহার করতে আল্টিমেটাম দেয়। মামলা প্রত্যাহার না করলে উল্টো তারা মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে ফাঁসাবে বলে আল্টিমেটাম দিয়ে যায়। আমাকে তারা উঠিয়ে নিয়ে যাবে এবং জানে মেরে ফেলবে। সেই সঙ্গে লাশ গুম করে ফেলবে বলেও হুমকি দিয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, মাননীয় পুলিশ সুপার মহোদয়কে অবগত করে ও অফিসার ইনচার্জ কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় আইনি পরামর্শে তথ্য প্রজুক্তিসহ অপরাধী কর্তৃক বিভিন্ন নাশকতামূলক তথ্য বিভ্রান্তি, ফেসবুক আইডি হ্যাকিং, মোবাইল সিম নাম্বারে হোয়াটসঅ্যাপ ক্লোনিং এবং ফেসবুকে ছবি এডিট করে বেকায়দায় ফেলে চাদা দাবি করাসহ আমার দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার বিষয়ক হুমকিসহ উক্ত আসামিদের পরোক্ষ লোক এবং আসামিদের মনোনীত সাইবার অপরাধী চক্র এই নাশকতা করাসহ অপূরণীয় ক্ষতি করার চেষ্টা করে। নিরাপত্তা, প্রতিরোধ ও প্রতিকার চেয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি সদর মডেল থানায় অনলাইনে বিশেষ জি ডি ( সাধারণ ডায়েরি) রেকর্ডভুক্ত করা হয়। যার নাম্বার-২২২, তারিখ:০৩. ০২.২০২৫। উক্ত জি ডি’ র তদন্তের তদন্ত কর্মকর্তা এস আই ফিরোজ হুসাইন।

আমার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ২০১৭ সাল থেকে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে আসছি। আমাকে অস্ত্র দিয়ে জখম, চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের দরুন কোতোয়ালি মডেল থানায় ১৪ নভেম্বর আমি ৮ জনের নামসহ অজ্ঞাত ৪ থেকে ৫ জনের নামে মামলা দায়ের করি।

মামলার এজহার নামীয় পলাতকসহ তাদের পরোক্ষ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের দ্বারা হুমকিসহ প্রাণনাশ করবে। ভিক্টিম মওদুদ আব্দুল্লাহ শুভ্র’র পরিবারের সদস্যদের অপূরণীয় ক্ষতি করবে বলে আল্টিমেটাম দিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন,গত বছরের ৩ আগস্ট রাতে আমি টিক্কচর ব্রিজ অতিক্রম করে শহরের দিকে আসছিলাম। এসময় বিগত আওয়ামী লীগের ১৩/১৪ জন সন্ত্রাসী ৪ থেকে ৫টি মোটরসাইকেল ও একটি সিনএনজিতে এসে আমার সিএনজির গতিরোধ করে। এসময় সন্ত্রাসীরা আমার কাছে দশ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমার সঙ্গে থাকা মোবাইল ও টাকা পয়সা এবং সাংবাদিকতার কাজে ব্যবহৃত ক্যামেরা, নগদ টাকা, মোবাইল ফোন সিম সহ ছিনিয়ে নেয়। তখন আমি তাদেরকে বলি দশ লাখ টাকা চাঁদা কেন দিতে হবে? তখন তাদের মধ্যে কয়েকজন বলে- কুমিল্লার এই শহরে কাজ করলে আমাদেরকে চাঁদা দিতে হয়। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি করলে তারা আমাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। আমি সিএনজি চালকের সাহায্যে আমার বন্ধু কুমিল্লা জজকোর্টের আইন পেশায় নিয়োজিত মোহাম্মদ জিল্লুরসহ অন্যান্য বন্ধুদের ফোন করি। তারা কয়েকজন কিছুক্ষণের ভিতরে এসে আমাকে নিয়ে ওই রাতেই কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করায় ও বাম হাতে সেলাই সহ পুরো শরীরে সন্ত্রাসীদের আঘাতের চিকিৎসা সেবা নেন ।

ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকার ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মধ্যে পতনের দু’দিন আগে ৩ আগস্ট থেকে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকার কারণে গত বছরের ১৯ আগস্ট দ্রুত বিচার আইনে অজ্ঞাতনামা ৩ জন পুরুষ ও একজন মহিলাকে আসামি করে তাদের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরসহ মামলা দায়ের করা করি। যা কুমিল্লা জেলা পিবিআইয়ের তদন্তনাধীন রয়েছে। মামলার ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় কুমিল্লা জেলা পিবিআইয়ের ইন্সপেক্টর মোসলেহ উদ্দিন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের পর্যায়ে রয়েছে।

আমার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ২০১৭ সাল থেকে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে আসছি। আমাকে অস্ত্র দিয়ে জখম, চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের দরুন কোতোয়ালি মডেল থানায় ১৪ নভেম্বর আমি ৮ জনের নামসহ অজ্ঞাত ৪ থেকে ৫ জনের নামে মামলা দায়ের করি।

সন্ত্রাসীবাহিনীরা পুনরায় ভিক্টিম মওদুদ আব্দুল্লাহকে দ্রুত তার করা মামলা প্রত্যাহার চাপ প্রদান করে আসছে শুধু তাই নয় বিভিন্ন প্রশাসনের পরিচয় প্রদান করে অজ্ঞাত নামা নারী পুরুষ কিছু লোক জন বলে – এই মামলা প্রত্যাহার না করলে সন্ত্রাসী পক্ষের পরোক্ষ লোকেরা সরাসরি যে কোন মামলা দিয়ে তুলে নিয়ে সরাসরি গুম করে ইট ভাটায় লাশ পুড়িয়ে ফেলবে বলে জানায় এবং এরই সুত্র ধরে গত দিন গুলো ধরে অপরিচিত বিভিন্ন অজ্ঞাত নামা হ্যালমেট পড়া লোকজন প্রতিনিয়ত ভিক্টিম মওদুদ শুভ্র চারপাশে ঘুরাফেরা করছে। যে কোন মুহূর্তে যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে এবং সুনিশ্চিত করার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই ব্যাপারে তার ও তার পারিবারিক নিরাপত্তা বিষয়ক কুমিল্লা কোতোয়ালি অফিসার ইনচার্জসহ তদন্তের অফিসার , কুমিল্লা জেলা ডি বি পুলিশের অফিসার ইনচার্জসহ সেনাবাহিনী কুমিল্লার ক্যাম্প কমান্ডার সকলকে সন্ত্রাসীদের অপরাধের কার্যকলাপ লিখিতভাবে ও মৌখিকভাবে জান – মালের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়ে অবগত করে দ্রুত অপরাধীদের আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করা হয়।

২০১৭ সাল থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন প্রশাসনিক মহলে অভিযোগ করেও সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। সন্ত্রাসীরা এতটাই বেপোরোয়া যে তারা কাউকে ভ্রুক্ষেপ পর্যন্ত করে না। প্রশাসনিক নিরাপত্তাসহ আইনগত সুরক্ষার কোন ধরনের ফল না পেয়ে হতাশ এই তরুণ সাংবাদিক এবং মানবধিকার কর্মী ।

তিনি কোতয়ালি মডেল থানার প্রথম জিডি করেন২০১৭ সালের ৩ মে যার নম্বর ১৫৭। আসামীরা তারপরও আটক না হওয়ার তিনি পূণরায় ২০১৮ সালের ২৮ জুন দ্বিতীয়বারের মত জিডি করেন যার নম্বর ১৫৩৮। মওদুদ শুভ্র একের পর এক হামলা নির্যাতনের কারণে তিনি ২০২৩ সালের ১৪ জানুয়ারি কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন যার এসডিআর নাম্বার ১৯২।

সন্ত্রাসীরা আরো ক্ষিপ্ত হওয়ার কারণে মওদুদ আবদুল্লাহ শুভ্রকে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি দেয়ার কারণে দ্রুত বিচার আইন আদালতে ২০২৪ সালের ১৯ আগষ্ট মামলা করেন যার নম্বর সি আর ৩৬/২৪ ।

কুমিল্লা কোতয়ালি মডেল থানায় চাঁদাবাজি,চুরি ও ছিনতাইয়ের কারণে মামলা করা হয় ২০২৪ সালের ১৪ নভেম্বর যার নম্বর ৪১/৮৫০।

একটি অভিযোগ জমা দিয়েছেন কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায়। অভিযোগ থেকে জানা গেছে, মওদুদ আব্দুল্লাহ শুভ্র মানবধিকার কর্মী ও মেসার্স মওদুদ ভ্যারাইটিজ কনস্ট্রাকশন এবং মওদুদ বিল্ডার্সের একক স্বত্বাধিকারী। আসামি পক্ষের চেনা জানা লোকজন এই বিবাদীর মোবাইল নাম্বারে হুমকি প্রদান করে আসছে। অপরাধীরা বিভিন্নভাবে মওদুদ শুভ্রকে নাজেহাল, মারধরসহ চাঁদা দাবি করছে। মওদুদ শুভ্র’কে হত্যার উদ্দেশ্যে উক্ত সন্ত্রাসীরা ছুরিকাঘাতও করেছে। তখন এই সন্ত্রাসী বাহিনীকে পুরাপুরি শনাক্ত করতে না পেরে থানায় মামলা করা যায়নি এবং আসামিরা বেশিরভাগ আওয়ামী লীগ নেতাদের অনুসারী হওয়ায় সকল স্থানে আধিপত্য বিস্তার করত। তাকে আহত করার পর পুনরায় এসে চাঁদা দাবি করায় আসামিদের চিহ্নিত করে অজ্ঞাতনামাসহ আরও কিছু আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

আর দুটি বিষয়ে দুটি মামলা হয় ৪ আগস্ট হত্যার উদ্দেশ্য ছুরি ও অস্ত্র প্রদর্শন করে শারীরিক ভাবে আহত করে এবং নিয়মিত ভাবে চাদা চাইতে থাকে চাদা না দেওয়াতে ছুরিকাঘাত, টাকা পয়সা, মোবাইল ও সাংবাদিকতার ক্যামেরা সব ছিনিয়ে নেয় পরে থানায় মামলা এই বিষয়ে না নেওয়াতে আদালতে দ্রুত বিচার আইনে চাদাবাজি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার নাম্বার -দ্রুত সি আর-৩৬/২৪, তারিখ:১৯.০৮.২০২৪ ইং।ধারা – আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ ( দ্রুত বিচার) আইন ২০০২ ( সংশোধনী /২০১৯) এর ৪/৫ নং । অত:পর পুনরায় এই সন্ত্রাসী চক্র গত ১৩ -১৬ অক্টোবর চাদাবাজি পুনরায় করতে থাকে সরাসরি এসে এবং হুমকি ধমকি দিতে থাকে সাথে মোবাইল কল ও এস এম এস দিতে থাকে।যেটা ভিক্টিম মওদুদ শুভ্র’র মোবাইলে সব সংরক্ষিত আছে অত:পর এজহার নামীয় সন্ত্রাসী বাহিনীসহ তাদের পরোক্ষ অজ্ঞাত নামা লোক জন এবং প্রশাসনের নাম অপব্যবহার করা কঠিত অস্ত্রধারী খুনী নারী পুরুষ সম্মিলিত ” স্যার গ্রুপ ” হত্যার হুমকি ধমকি এবং সুযোগ খুজতে থাকে পরে বাধ্য হয়ে শারিরিক জখমি থেকে শুরু করে সার্বিক অপরাধের বিষয় অবগত করে পৃথক আরেকটি ১৪ই নভেম্বর, ২০২৪ ইং থানায় ৮ জনকে অভিজুক্ত করে সাথে অজ্ঞাতনামা আরো ৫/৬ জনকে আসামি করে তাদের সকলের বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি এফ আই আর / জি আর মামলা দায়ের করা হয়।

কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার মামলা নাম্বার-৪১/ ৮৫০, ধারা-১৪৩/৩৪২/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৪২৭/৩৮৫/৫০৬(২)/৩৪ প্যানেল কোড ১৮৬০।

আমারপরিবার-পরিজনের ক্ষতি করবে বলে প্রকাশ্যে, মোবাইল ফোনে ও এসএমএস দিয়ে হুমকি দেয়। ইতোমধ্যে তারা আমার ফেসবুক আইডি হ্যাকও করেছে এবং নানাবিধ অপরাধের আশ্রয় নিচ্ছে।

পুরাতন চৌধুরী পাড়ায় মাফিয়া স্যার গ্রুপের অত্যচার মহামারি আকার ধারণ করছে কখনো দুটি মটর সাইকেলে ৪ জন আবার কখনো ৩ টি মোটর সাইকেলে ৬ জন একসাথে আসে একে অপরকে স্যার বকে সম্বোধন করে। গলি এ রাস্তায় সবার মাথায় হেলমেট থাকে তাদেরকে হেলমেটের দরুন চেনা যায় না।

ভুক্তভোগী মওদুদ আবদুল্লাহ শুভ্র বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে আমি দ্রুত বিচার আইনে মামলা করা হয়।

তিনি আরও বলেন বিগত চার মাস ধরে এজহার নামীয় বাকী আসামিদের আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধব মাফিয়া ” স্যার গ্রুপ” যারা নাম দিয়ে প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নাম ভাঙ্গিয়ে আমাকে হুমকি দিয়ে আসছে মামলা তুলে নেয়ার জন্য । তারা আমার ফেসবুক আইডি হ্যাক করে এবং আমার মোবাইল নাম্বার ক্লোন করেছে। ১০ লাখ টাকা না দিলে আমার আমার ফেসবুক আইডি থেকে বিভিন্ন অশ্লিল ছবি ও ভিডিও পোস্টসহ নানা ধরনের হুমকি দিয়ে আসছে। এজন্য তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সাইবার অপরাধীদের বিরুদ্ধে আমি থানায় জিডি করি সাইবার ক্রাইম ও জিটিটাল নিরাপত্তার জন্য।ইতিমধ্যে আদালতে ইহা নন এফ আই আর মামলার জি ডি’র রেফারেন্সে তথ্য ও প্রজুক্তি বিষয়ক সাইবার অপরাধে অভিজুক্ত অপরাধীদের বিরুদ্ধে করা হয়।

জিডির সূত্রে জানা যায়, স্যার গ্রুপ নামের চক্রটি মওদুদ আবদুল্লাহ শুভ্র’র আইডি থেকে পরিচালিত একটি অনলাইন পত্রিকার পেইজ হ্যাক করে নানাভাবে ব্ল্যাক মেইলিংয়ের চেষ্টা করছে। মামলার এজহার নামীয় আসামি যুবলীগ ক্যাডার” কে গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেফতার হওয়ায় এজহার নামীয় অন্যান্য আসামীরা আমাকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে মামলা তুলে নেয়ার জন্য। আমি অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করছি এবং প্রশাসনের কাছে আমার জীবনের নিরাপত্তা দাবি করছি।

এ বিষয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মহিনুল ইসলাম বলেন, পুলিশ এই মামলাটির আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা করছে। তিনি জানান, অতি দ্রুত আসামিদেরকে গ্রেফতারসহ তথ্যসূত্রে মূল আসামিদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে। এ বিষয়ে অপরাধীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। ভুক্তভোগী মওদুদ আবদুল্লাহ শুভ্র জানিয়েছেন তাকে মোটরসাইকেলে এসে অস্ত্র দেখিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমার নলেজে আসার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ফোর্স পাঠিয়েছি তার নিরাপত্তার জন্য। তারা চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী তাই ভুক্তভোগীর কাছে প্রশাসনের নাম ভাঙ্গায়।

কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নজির আহমেদ খাঁন বলেন, আমি মওদুদ আবদুল্লাহ শুভ্রকে বলেছি, কোন সমস্যা হলে যেকোন সময় আমাকে ফোন দিবেন। আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই ও মামলার আইও খাজু মিয়া জানান, এজহার নামীয় অভিযুক্ত অপরাধীসহ তাদের সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী গ্রেফতারের ব্যবস্থা ইতোমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে।

মানবধিকার কর্মী মওদুদ আবদুল্লাহ শুভ্র বলেন, আসামি পক্ষের পরোক্ষ লোকজন আমার এলাকার আশে পাশে বিভিন্ন স্থানে অস্ত্র নিয়ে প্রশাসনের নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি আর মামলা প্রত্যাহার হুমকি দিচ্ছে।ভিক্টিম মওদুদ আব্দুল্লাহ শুভ্র তার পেশাগত কাজের জন্য যেখানেই যাচ্ছে সেখানেই তার পিছনে পিছনে ঘুরা ফেরা করছে।

তার ও তার পরিবারের আইনগত সুরক্ষা এবং প্রশাসনিক সার্বিক নিরাপত্তার জন্য এবং আসামিদেরকে দ্রুত গ্রেফতার এবং আসামিদের মদদদাতা – পৃষ্ঠপোষক কথিত খুনী সিন্ডিকেট বাহিনী ” অস্ত্রধারী স্যার গ্রুপের ” শনাক্তের আহবান জানান। প্রশাসনের নাম অপ- ব্যবহারকারী বে- আইনি স্যার গ্রুপকে গ্রেপ্তার করার জন্য মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় ড. মুহাম্মদ ইউনুস ও মাননীয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নিকট আকুল সাহায্য প্রার্থনা করেন।

আরো পড়ুন