নির্বাচনী দ্বন্দ্বে কুমিল্লা উত্তর জেলা আ’লীগ সভাপতির গাড়ি ভাঙচুর!
অফিস রিপোর্ট।
কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ম. রুহুল আমিনের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। দাউদকান্দি উপজেলার ইউনিয়নের সম্বুরদিয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এনিয়ে ২৯ জানুয়ারি ৮জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ২৫জনের নামে মামলা দায়ের করেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগ সভাপতি সোহল রানা।
সোহল রানা ও স্থানীয় একাধিক স্থানীয় ব্যক্তি জানান, গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে দাউদকান্দির দৌলতপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মঈন চৌধুরীর সমর্থকদের সাথে কিছু নেতাকর্মীদের দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। এখানে মনোনয়ন বাণিজ্যেরও অভিযোগ উঠে। শনিবার দাউদকান্দি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের রফারদিয়ায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে দাওয়াতে যান কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. রুহুল আমিন। বিকেলে সেখান থেকে ফেরার পথে ইউপি চেয়ারম্যান সমর্থকরা হামলা চালান জেলা সভাপতির গাড়িতে। এসময় গাড়িতে ছিলেন, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. রুহুল আমিন, দাউদকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আহসান হাবিব লিল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মহিউদ্দিন সিকদার প্রমুখ।
সোহল রানা দাবি করেন,হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে তিনি আহত হন। উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বশির উল্লাহ মিয়াজীকে খোঁজার লোকজন গাড়িতে হামলা করে। অভিযোগ রয়েছে মঈন চৌধুরী থেকে সুবিধা নিলেও তার পক্ষে ছিলেন না বশির উল্লাহ মিয়াজী।
অভিযোগের বিষয়ের দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মঈন চৌধুরী বলেন, নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে কিছু বিষয় নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয় এটা সঠিক। তবে শনিবারের ঘটনার বিষয়ে আমি কিছুই জানতাম না, এলাকায়ও ছিলাম না। আমি শুনেছি ঘটনার এক ঘন্টা পর। এই ঘটনার জন্য আমি অনুতপ্ত।
হামলার বিষয়ে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিন জানান, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বশির উল্লাহ মিয়াজীকে খোঁজার জন্য স্থানীয় কয়েকজন ধাওয়া করে। না বুঝে আমার গাড়িতে হামলা চালায়। মনোনয়ন বাণিজ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন।
উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বশির উল্লাহ মিয়াজী বলেন, আমি বিয়েতে যাইনি। ঢাকায় কাজে ছিলাম। আমি মনে করে জেলা সভাপতির গাড়িতে হামলা করেছে মঈন চৌধুরীর লোকজন। মঈন চৌধুরী স্বতন্ত্র নির্বাচন করেছে। আমি ইউপি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছি। এটা আমার অপরাধ। মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগের বিষয়ে বলেন,মঈন চৌধুরী নৌকার মনোনয়ন চাননি। তাহলে মনোনয়ন বাণিজ্য কিভাবে করবো?
দাউদকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আলমগীর ভূঞা জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ইয়াকুব নামের একজনকে গ্রেফতার করেছি। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে আমরা অভিযান পরিচালনা করছি।