পাঁচ হাজার নার্স নিয়োগ

আমোদ ডেস্ক।।

পাঁচ হাজার ৫৪ জন সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)’র সুপারিশ নিয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। এদের নিয়োগের ক্ষেত্রে পিএসসির সুপারিশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছে আদালত।

নিয়োগবঞ্চিত ৫১ জনের করা রিট আবেদনের প্রথামিক শুনানির পর বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ রুল জারি করে।

লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ রিট আবেদনকারী ৫১ জনকে নিয়োগ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পিএসসির চেয়ারম্যানসহ ৫ বিবাদিকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অনীক আর হক ও বিভূতি তরফদার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জেসমিন সুলতানা সামসাদ।

অনীক আর হক বলেন, কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে সরকার দশম গ্রেডে ৬ হাজার সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়। সে অনুযায়ী চাহিদা পত্র পঠালে পিএসসি লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৫ হাজার ২১২ জনের মধ্য থেকে ৫ হাজার ৫৪ জনের নিয়োগের সুপারিশ করে। যাদের মধ্যে অন্তত পাঁচজন মৌখিক পরীক্ষাই দেয়নি।

সরকারের চাহিদা থাকার পরও ১৫৮ জনকে বাদ দিয়ে পিএসসি ৫ হাজার ৫৪ জন নিয়োগের সুপারিশ করল, তাদের মধ্যে আবার অযোগ্যদের সুপারিশ করা হল। যে কারণে পিএসসির সুপারিশটাকে চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছিল। আদালত রুল জারি করেছেন।

রিট আবেদনে বলা হয়, দশম গ্রেডে ৪ হাজার সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগের জন্য ২০১৭ সালের ১০ আগস্ট সরকার বিজ্ঞপ্তি দেয়।

ওই বিজ্ঞপ্তির পর ১৬ হাজারের বেশি আবেদনকারী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়।

১১ হাজার ৩৫৭ জনকে উত্তীর্ণ দেখিয়ে ২০১৮ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি পিএসসি লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে।

এরপর লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের শিক্ষাগত সনদ, আবেদন যাচাই-বাছাই করে ওই বছরের ১১ জুন ১ হাজার ১৭ জনকে মৌখিক পরীক্ষায় অযোগ্য ঘোষণা করে নোটিস দেয় পিএসসি। মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয় ১০ হাজার ৩৪০ জনের।

মৌখিক পরীক্ষায় কতজন উত্তীর্ণ হয়েছে, সে বিষয়ে কোনো বিজ্ঞপ্তি জারি না করলেও ওই বছরের ১৯ আগস্ট পিএসসি মেধাক্রম অনুসারে ৫ হাজার ১২৮ জনের নিয়োগের সুপারিশ করে। সরকার সে অনুযায়ী নিয়োগও দেয়।

পদ স্বল্পতার কারণে সুপারিশের বাইরে থাকেন অর্থাৎ নিয়োগ বঞ্চিত থাকেন ৫ হাজার ২১২ জন।

এরপর গত বছর সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগে পিএসসিতে আবারও চাহিতা পত্র দেয় সরকার। চাহিদা পত্র অনুযায়ী পিএসসি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করলে প্রার্থীরা আবেদনও করে। কিন্তু এরপর আর সে নিয়োগ প্রক্রিয়ার অগ্রগতি হয়নি।

এর মধ্যে চলতি বছরের মার্চে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে সরকার ৬ হাজার নার্স নিয়োগের জন্য পিএসসির কাছে চাহিদাপত্র দেয়।

পিএসসি তখন ২০১৭ সালের নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কিন্তু পদ স্বল্পতার কারণে সুপারিশের বাইরে থাকা ৫ হাজার ২১২ জনের মধ্য থেকে ৫ হাজার ৫৪ জনের ক্ষেত্রে গত ৩০ এপ্রিল সুপারিশ করে। সে অনুযায়ী সরকার তাদের নিয়োগও দেয়।

সরকারের চাহিদা পত্র থাকার পরও উত্তীর্ণ ১৫৮ জনের ক্ষেত্রে কোনো সুপারিশ পাঠায়নি পিএসসি।